তীব্র গরমের পাশাপাশি রয়েছে পরিবেশ দূষণ। অতিরিক্ত দূষণে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তার উপর যদি ত্বকের ধরণ না বুঝে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়, তা হলে রোদে ত্বকের আরও ক্ষতি হতে পারে। করোনা মহামারির ফলে সব সময় মাস্ক পরে থাকার ফলে মুখের ত্বক একটুতেই বেশি ঘেমে যায়। তাই অনেকে সানস্ক্রিন না মেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এ ধরণের ভুলের ফলে অল্প বয়সেই ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বয়সের ছাপ, মেছতা, পিগমেন্টেশন সহ আরও নানান সমস্যা। কিন্তু সানস্ক্রিন ঠিক ভাবে ব্যবহার করলে এ ধরণের সমস্যাকে সহজেই এড়ানো যায়। কিন্তু কেবল সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই হয় না অবশ্যই সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন ত্বকের জন্য কেমন সানস্ক্রিন জরুরি, তা আমরা অনেকেই জানি না। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী বাছাই করতে হবে সানস্ক্রিন। ত্বকে যদি অল্পেই সমস্যা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে প্যারাবেন বা অক্সিবেনজোন যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার না করাই ভাল। এই ধরণের ত্বকের ক্ষেত্রে টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড বা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষার জন্য নূন্যতম এসপিএফ ৩০ প্রয়োজন। তবে যাদের ত্বকের রং ফর্সা, তারা এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই ভাল। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ময়শ্চারাইজিং সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। এই ধরনের সানস্ক্রিন ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে খুব বেশি ঘাম হয়। সে ক্ষেত্রে সোয়েট ফ্রি কিংবা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে সানস্ক্রিন জেল বা স্প্রে ও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে সূর্যের তাপ থেকে ত্বক রক্ষাও পাবে, আর ঘামও হবে না। যাদের ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা রয়েছে, গরম বাড়লে তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কোনও রাসায়নিক মিশ্রিত, সুগন্ধি যুক্ত সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলতে হবে।