কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে দ্রুত ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সনজিব কুমার ভাট্টি। একই সাথে আমদানী-রপ্তানীতে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর প্রশাসনিক কার্যালয়ের হলরুমে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব আশ্বাস দেন ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সনজিব কুমার ভাট্টি। বন্দরটি দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশ অকৃত্রিম বন্ধু। সেজন্য দুই দেশের সীমান্তের সব বন্দরগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত সরকার। বন্দরের স্থানীয় যেসব সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছে।
সোনাহাট স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েলের সভাপত্বিতে মতবিনিময় সভায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সনজিব কুমার ভাট্টি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা, আমদানী-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
এসময় কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক সাক্ষরিত একটি স্মারক লিপি ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে সোনাহাট স্থলবন্দরে প্রস্তাবিত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা দ্রুত চালু করণ, এ বন্দরে চাহিদার বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রতিদিন (৫০০টি) সর্বোচ্চ সংখ্যক ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করা, বন্দরের জিরো পয়েন্টে দু-দেশের ব্যবসায়ীদের আলাপচারিতা ও কাগজপত্র আদান প্রদানের সুযোগ দেয়া, বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশের সময় হয়রানি বন্ধ করা, বিজনেস ভিসা প্রাপ্তি সহজ করা ও ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ বছর করাসহ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমস্যার কথা তুলে ধরেন।