রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপি আড়াদীঘি গ্রাম নিয়ে গঠিত ৬ নং ওয়ার্ড। আড়াদীঘি গ্রামের চারি দিকে জমির মাঠ। ওই গ্রামে প্রায় ২হাজার লোকের বসবাস এবং ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮শ'।
ওই গ্রামে আসা যাওয়ার জন্য মাত্র একটি রাস্তা যা ২৭ বছর আগে ১৯৯৫ সালে পাঁকা করা হয়েছিলো।
২৭ বছরেও রাস্তাটি সংস্কার না করায় বর্তমানে রাস্তাটি মাটির রাস্তায় পরিনত হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রামবাসীসহ এ অন্চলের কৃষকরা।
তানোর-মুন্ডমালা সড়কের পাঁচপির মোড় থেকে উত্তরে আড়াদীঘি গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি ১৯৯৫ সালে পাকা করা হয়। পাঁকা করার পর গত ২৭ বছরেও এ রাস্তাটি একবারো সংস্কার করা হয়নি
ফলে, রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আড়াদীঘি গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটি এলাকার কৃষকরের কাছে অতি গুরুত্ব পূর্ন রাস্তা এটি। ওই রাস্তার দু'ধারের জমির মাঠ থেকে কৃষকরা তাদের ফসল ওই রাস্তা দিয়েই আনা নেয়া করেন।
দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না করায় বুঝার উপাই নাই যে, এই রাস্তাটি একসময় পাকা রাস্তা ছিলো। বর্তমানে রাস্তাটির ১২শ' মিটার রাস্তার পুরোটাই মাটির রাস্তায় পরিনত হয়েছে।
ফলে, আড়াদীঘি গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার করার দাবি গ্রামবাসীসহ এলাকার কৃষকদের।
কৃষকরা বলছেন, এলাকার কৃষকরা তাদের ফসল এই রাস্তাদিয়েই ঘরে তুলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না করায় রাস্তাটি একেবারেই ভেঙ্গে গেছে।
সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কৃষি পন্য ঘরে তুলতে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে কৃষকদের সেই সাথে গ্রামবাসীকে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এবিষয়ে তালন্দ ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সামসুদ্দীন বলেন, আড়াদীঘি গ্রাম নিয়ে ৬নং ওয়ার্ড গঠিত, এই গ্রামের চারি দিকেই জমি, এই গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি ২৭ বছর আগে পাকা করা হয়।
দীর্ঘ ২৭ বছর এই রাস্তাটির কোন সংস্কার করা হয়নি, ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে গ্রামবাসীসহ কৃষকদের কৃষি পন্য আনা নেয়া করতে হয়।
আগামী বর্ষার আগে এই রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে গ্রামের মানুষকে পাঁয়ে হেটে চলাচল করতে হবে।
তিনি বলেন আগামী বর্ষা মৌসুমে কোন ধরনের যানবাহন বা মটরসাইকের বা ভুটভুটি ও অটো এই রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।