বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের কথা বলে প্রেমিকাকে ডেকে এনে গন ধর্ষনের অভিযোগে কৃষকলীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষনের সাথে জড়িত আরো ৩জন পলাতক রয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে গ্রেফতারকৃত ৩ জনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ধর্ষিতা যুবতী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নন্দীগ্রাম পৌর কৃষকলীগ সভাপতি সুমন (২৬), ধর্ষিতা যুবতীর প্রেমিক শাহাদৎ (৪২) ও তাদের সহযোগী হযরত আলী(৩৬)। জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক যুবতীর সাথে নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শাহাদতের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। ওই যুবতীর স্বামী না থাকায় এবং শাহাদতের স্ত্রী না থাকায় একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) শাহাদত ওই যুবতীকে বিয়ে করবে বলে নন্দীগ্রাম আসতে বলে। সন্ধ্যায় ওই যুবতী নন্দীগ্রাম আসলে শাহাদতের সাথে দেখা হয়। তারা বিভিন্নস্থানে ঘোরাফেরা করে রাত ১০ টার দিকে নন্দীগ্রাম কলেজ পাড়া এলাকা থেকে শাহাদতের বাড়ি রিধইল গ্রামে পাঁয়ে হেটে যাচ্ছিল। এ সময় সেখানে আগে থেকেই ওই ওঁৎ পেতে থাকা রাকিব (২৬), মনির (২৩) ও বিজয় (২৮) নামের তিন যুবক শাহাদতসহ ওই যুবতীকে আটক করে। পরে তাদেরকে পাশের একটি ইউক্যালিপটাস বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই সুমন ও হযরত নামের দুই যুবক অপেক্ষা করছিল। ভোররাত পর্যন্ত ওই যুবতীকে গন ধর্ষনকে ছেড়ে দেয়া হয়। শনিবার সকালে ধর্ষিতা যুবতী নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানায়। এরপরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। দুপুরের পর গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতো পুলিশকে জানায় শাহাদতের পরিকল্পনা অনুয়ায়ী রাস্তা থেকে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ধর্ষন করা হয়। নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম বলেন, ধর্ষিতার জবানবন্দী এবং গ্রেফতারকৃত ৩ জনের স্বিকারোক্তি অনুযায়ী ৬ জনের নামে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।