সংসদ সদস্য'র ব্যক্তিগত সহকারীর দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পানানগর ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে।
৪ এপ্রিল রোববার রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযুক্তদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার আলী খাঁ এর নেতৃত্বে বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম কহিদুল ইসলাম, পানানগর উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু মাষ্টার ও মাহবুবুর রহমান লাল্টু স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের দিয়ে ১৩ জানুয়ারী পানানগর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান কে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১৭ জানুয়ারী এমপি মহোদয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ দুর্গাপুর উপজেলায় ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এরপর ৩০ জানুয়ারী সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত সহকারি শফিকুল ইসলাম তরফদার বাদী হয়ে ওই চারজনকে আসামি করে গত ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫/২৮/৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার আলী খাঁ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম কহিদুল ইসলাম, পানানগর উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু মাষ্টার ও মাহবুবুর রহমান লাল্টু উচ্চ আদালত থেকে ৬সপ্তাহের আগাম জামিন নেন।
উচ্চ আদালত থেকে নেয়ার জামিনের মেয়াদ গত ৩০ মার্চ শেষ হলে ৪ এপ্রিল রোববার রাজশাহী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার এর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের যুক্তিতর্ক শেষে শিব জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।