বিপন্নপ্রায় একটি বড় বাঘডাশ উদ্ধার করেছে বন
বিভাগ। শনিবার ( ২ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের নকলা উপজেলার দক্ষিণ নকলা
গ্রাম থেকে জেলা বন্যপ্রাণী ব্যস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন
বাঘডাশটি উদ্ধার করে।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ নকলা গ্রামের মৃত সুরুজ্জামানের ছেলে ফিরুজ
মিয়ার বাড়িতে শনিবার মাঝ রাতে খাবারের সন্ধানে এ বাঘডাশটি প্রবেশ করে।
টের পেয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় বাঘডাশটি আটক করে শিকলবন্দী করে গাছের সাথে
বেঁধে রাখা হয়। পরে দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিকলবন্দী
বাঘডাশটির ছবিসহ ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকদের নজরে আসে। সাংবাদিকদের তথ্যের
ভিত্তিতে প্রশাসনসহ বন্যপ্রাণী ব্যস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মুঞ্জুরুল আলম জেলা
বন্যপ্রাণী ব্যস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজনকে সাথে নিয়ে
ঘটনাস্থল থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে জনতার হাত থেকে রক্ষা করে তাদের
হেফাজতে আনে।
বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মুঞ্জুরুল আলম জানান, তারা বিষয়টি জেনে
দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে বন্যপ্রাণীটি উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত প্রাণীটির নাম বড় বাঘডাশ।
তিনি আরও বলেন, এরা খাদ্যশৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ফসলের ক্ষতিকারক
পোকা-মাকড় ও ছোট ছোট প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে। এ ছাড়া এ প্রাণীটি
মানুষের তেমন কোনো ক্ষতি করে না বলে তিনি জানান। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী
(সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী
এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা।
নকলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী জানান,
উদ্ধারকৃত বিপন্নপ্রায় এই প্রাণীটিকে ইংরেজিতে খধৎমব ওহফরধহ ঈরাবঃ বলা
হয়; যার বৈজ্ঞানিক নাম ঠরাবৎৎধ ুরনবঃযধ. বিপন্নপ্রায় এ বন্যপ্রাণীটির
বসবাস গভীর জঙ্গলে। তবে বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় তাদের খাদ্যের অভাব দেখা
দিয়েছে। তাই খাদ্যের সন্ধানে এটি লোকালয়ে এসেছে বলে তিনি মনে করছেন।
এদিকে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এমন বিপন্নপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে
নজর রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
মোস্তাফিজুর রহমান।