গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অনলাইনে আবেদনকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবিদারদের যাচাই-বাছাইয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আলোচনা সভা ও স্মারকলিপি পেশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অনলাইন ও সরাসরি আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধা দাবিদারদের উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি বিগত ২০২০ সালে গঠিত হয়। সরকারের নির্দেশনা ও নীতিমালা মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে থাকতে না পারায় সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম আজাদ গং ও কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় টিকতে না পেরে তারা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় এবং যাচাই-বাছাই কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় তারা গত সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভায় নানা বানোয়াট অভিযোগ তুলে ধরেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের চেষ্টা করেন। কথিত আলোচনা সভা থেকে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র, বানোয়াট, মিথ্যা, প্রতিহিংসা চরিতার্থ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু মোহন রায় জীবু বাবু (১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গোবিন্দগঞ্জ থানার গেরিলা কোম্পানির কমান্ডার), গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর-মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল আলম (মুজিব বাহিনী থানা কমান্ডার), সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম আকন্দ, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা খাজা নাজিম উদ্দিন, উপজেলা কমান্ড ও সহকারী সাবেক কমান্ডার ইউনুছ আলী ম-ল, বীরমুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, বীর-মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী ম-ল, আঞ্চলিক কমান্ডার বীর-মুক্তিযোদ্ধা শ্রী কমলেশ চন্দ্র বর্মন, বীর-মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক প্রধান প্রমুখ।