বাঁশের খুটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দুর্ঘটনার শঙ্কা। গ্রামের মাঝখান দিয়ে গেছে ইট বিছানো সড়ক। সেই সড়কের পাশেই বাঁশের খুটিতে পুতে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। বৈদ্যুতিক তারের ভারে বাশের দুর্বর খুটি হেলে পড়েছে। আবার হেলে থাকা বাঁশের খুটি ঠেকনা দেওয়া হয়েছে অপর একটি বাঁশ দিয়ে। এমন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের চিত্র দেখা মিলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের মাদারজানি গ্রামে। ঝুঁকিপুর্ণ এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের জন্য গ্রামবাসী শঙ্কায় থাকে।গ্রা,হকদের অভিযোগ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বাঁশের খুটির পরিবর্তে সিমেন্টের খুটি বসানো হলেও খুটিতে তার টাঙানোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই অবস্থায় জীবন ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই চলাচল ও বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।খৈাঁজ নিয়ে জানাগেছে সিমেন্টের এই খুটি লাগাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে তিন হাজার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ অফিসের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারির বিরুদ্ধে। এ এলাকায় বিদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খুটি রয়েছে। সেখান থেকে গ্রাহক ফসলি জমিতে বাঁশের খুটি পুতে তার টেনে বাড়ি কিংবা সেচের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্ঠিতে ভিজে বাঁশের খুটিগুলো দুর্বল ও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় যে কোন মুহুর্তে ধসে কিংবা তার ছিড়ে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেচ মালিক মো. খোরশেদ াারম খসরু বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের বাঁশের খুটি নষ্ট কিংবা ভেঙ্গে পড়লে গ্রাহকরাই নিজ উদ্যোগে খুটি মেরামত করে। বিদ্যুৎ অফিসের কোন লোক খোঁজখবর নেয়না।করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, সড়কের পাশথেকে বিদ্যুতের লাইল নেওয়া বাঁশের খুটিটি হেলে পড়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত লাইনের সংস্কার ও বাঁশের খুটি পরিবর্তন করে সিমেন্টের খুটিতে সংযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড(বিউবো)-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান দ্রুত বাঁশের খুটি পরিবর্তন করে সিমেন্টের খুটিতে সংযোগ দেওয়া হবে।