টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত সন্দেহে ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী সিহাবকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। কালোবাজারি চক্রের ৬ জনের নামে মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
২ এপ্রিল রাতে ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের সাথে প্রায় ২ ঘণ্টা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রতিনিধি দলটি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ডিসিও নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অতিদ্রুত কালোবাজারিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ডোমারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল কালোবাজারিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কালোবাজারি রুখতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কালোবাজারির সাথে জড়িত থাকায় ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী সিহাবকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান ও স্টেশনে কর্মরত একজন শ্রমিকের চাকুরী বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করার পর কালোবাজারি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া কালোবাজারি সিন্ডিকেট রুখতে সৈয়দপুর, নীলফামারী, ডোমার ও চিলাহাটি স্টেশনে ৩ এপ্রিল থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কালোবাজারি চক্রের অভিযুক্ত ৬ জন হলেন ডোমার পৌরসভার স্টেশনপাড়ার মতিউর রহমান মতি, লিটন ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, নাছিরুল ইসলাম, খোকন ইসলাম ও রিপন।