নীলফামারীর সৈয়দপুরে লক্ষণপুর বালাপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার শহিদুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ৪ এপ্রিল এ মানববন্ধন কর্মসূচি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চলে বাঙ্গালীপুর - সৈয়দপুর সড়কে। মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ। এ সময় ওই সুপারের অনিয়ম দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে বক্তব্য দেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজার রহমান,বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য স্বপন চন্দ্র রায়,রুবেল আমিন সরকার,সোহেল রানা ও রাশেদুল আমিন সরকারসহ অনেকে। তারা বলেন ১৯৯৫ সালে এ মাদ্রাসাটি এলাকার লোকের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর পর্যায়ক্রমে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী অর্থাৎ দাখিল পর্যন্ত চালু করা হয়। সে সময় থেকে মাদ্রাসার সুপার পদে আছেন জামাত শিবিরের এজেন্ডা শহিদুল ইসলাম। তিনি একাধারে ম্যানেজিং কমিটি গঠন,শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ,মাদ্রাসার সামনে সপ্তাহে তিন দিন হাট বসে ওই হাটের টাকা আত্মসাৎসহ নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। সুপারের চেয়ার ঠিক রাখতে তিনি অনেক কিছু করতে পারেন বলে জানানো হয়। অপরপাশে তিনি সম্প্রতি তার নানা প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকতে রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন৷ ওই কমিটিতে সুপার তার মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়েছেন। যাতে মাদ্রাসার হিসাব নিকাশ করার সময় কেউ বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়। নিয়ম ও বিধি বর্হিভূত ওই কমিটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এলাকার সচেতন নারী পুরুষ। এলাকার লোকজনের চাপের মুখে পড়ে সুপার শহিদুল ইসলাম মাদ্রাসার প্যাডে লিখিতভাবে স্বীকার করেন অবৈধ কমিটির কথা। সাথে ওই অবৈধ কমিটি ৪ এপ্রিল বাতিল করে নতুনভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ৪ এপ্রিলের পুর্ব থেকে তিনি মাদ্রাসায় আসা বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবদুর রহিম জানান,সুপার কয়েকদিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন। তাই মাদ্রাসায় আসছেন না। তবে সুপার ছুটি নিলেও কাউকে দায়িত্ব দেননি তিনি। সুপারের অনুপস্থিতিতে কে সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন সে বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কোন শিক্ষক।
এলাকার মনোয়ার হোসেন জানান জামাতপন্থি ওই সুপার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে অনেকের কাছে টাকা গ্রহণ করেন। তবে এ পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেননি। তারাও প্রায়ই সময় সুপারের সাথে কথা কাটাকাটি ও তর্কে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়।
তারা ওই দুর্নীতিবাজ সুপারের অপসারণ দাবি করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার শহিদুল ইসলামের মুটোফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।