হোমনা বাজারের সোনার বাংলা মার্কেটে মঙ্গলবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মার্কেটের আসমা সাইকেল স্টোর দোকানটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত এবং সোনার বাংলা ভেড়াইটিজ স্টোরটি আংশিক ভস্মীভূতসহ প্রায় ৮টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগুনে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
হোমনা ফায়ার সার্ভিস অফিসের ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। যে দোকানটি থেকে আগুনের সূত্রপাত সেটি পুড়ে গেলেও আশে পাশের দোকানগুলোতে আগুন ছড়াতে পারেনি। বিদ্যুতের সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান তিনি।
তাৎক্ষণিক হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া পৌর মেয়র অ্যাড মো. নজরুল ইসলাম, থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আজিজুর বারীও ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভোরে ফজরের নামাজ পরে ঘুমিয়ে যাই। সকাল আটটার দিকে দোকান খুলে দেখি সোনার বাংলা মার্কেটের ভিতর থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। এ সময় রাস্থা ঘাট ছিল একেবারেই ফাঁকা, রাস্তায় ও আশপাশে কোনো মানুষজন ছিল না। পরে আমার স্ত্রী সন্তানদের বলি তারাতাড়ি পানির আন। এরপর আমরা সবাই মিলে পানি ঢালতে থাকলেও কিছুই হচ্ছে না। আমার ছেলে আলমগীর হোসেন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে আগুন লাগার কথা জানান। এরপর ফায়ার সার্ভিস আসতে দেরি হওয়ায় আমি নিজে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস অফিসে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে আসি। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হোমনা সোনার বাংলা মার্কেটের মালিক আবদুল মালেক মাস্টার বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন সঠিক সময়ে এসে আগুন নেভানোর কারণে বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। নয়তো দোতলায় অগ্রণী ব্যাংকসহ মার্কেটের সকল দোকান পুড়ে যেতো।