বগুড়ার গাবতলীতে মসজিদের সাবেক ইমাম ও মোয়াজ্জিন তোজাম্মেল হক খাঁ’র কবরসহ জায়গা দখল করেছে প্রতিপক্ষগন। এ ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে ৩ মহিলা আহত হয়েছে। থানায় ৬ জনের নামে এজাহার দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ এপ্রিল বেলা ১১ টায় বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের বালিয়াদীঘি পশ্চিম খাঁ পাড়া গ্রামে।
জানাগেছে, গাবতলী উপজেলা বালিয়দীঘি ইউনিয়নের বালিয়াদীঘি পশ্চিম খাঁ পাড়া গ্রামের মৃত ইমাম তোজাম্মেল হক খাঁ’র ছেলে মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, একই গ্রামের বিবাদী শামছুল আলম খাঁ, সাইফুল ইসলাম খাঁ, জাকির হোসেন খাঁ, জাফর আলী খাঁ, শাফু খাঁ, কাফী খাঁদের সাথে পুর্ব থেকে পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও বিবাদীগন তা অমান্য করে। বিবাদীগন বিভিন্নভাবে কবরস্থানসহ জায়গা দখলের হুমকি দিয়ে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে ৫ এপ্রিল ১ ও ২ নং বিবাদীর পরামর্শে বিবাদীগন জোটবদ্ধ হয়ে, রামদা, লোহার রডসহ দেশিয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, জোবপুর্বক মসজিদের পশ্চিমপাশে অবস্থিত বালিয়াদীঘি পশ্চিম খাঁ পাড়া বায়তুল কুবা জামে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন বাদীর পিতা তোজাম্মেল হক খাঁ’র কবরসহ পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা দখল করে। সেখানে বাঁশদ্বারা বেড়া দিয়ে ঘিড়ে রেখেছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে বাদীর ভাবি তারা বানুকে এলাপাথারী কিলঘুমিসহ বুকে আঘাত করে আহত করে। পরনের কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে শীøলতাহানী ঘটায়। এ সময় বাদী তার মা মোমেনা বেগম ও আরেক ভাবি শারমিন আকতার আগাইয়া আসলে তাকেও বিবাদীগন আহত করে। বিবাদীগন হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে, তারা বানুর বাম হাতের কনুতে লেগে হাড়ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়। আহত তারা বানুকে চিকিৎসার জন্য গাবতলী সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যপারে গাবতলী মডেল থানায় মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে ৬ জনের নামে একটি এজাহার দিয়েছেন। গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এজাহার প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।