মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। শত বছরের পুরানো এ ভবনটি নির্মানে অর্থ বরাদ্ধের অপেক্ষায় ঝুলে আছে এ ভবনের কাজ।
স্বাধীনতাপূর্ব তিন শতক জমির ওপর নির্মিত হয় ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি। দীর্ঘ বছর ধরে এ ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে এ ভবনটির অবস্থা খুবই নাজুক। যে কোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভবনটির ভিতরে রয়েছে ৪টি কক্ষ। একটি কক্ষে ইউনিয়ন চেয়রম্যানের গ্রাম্য আদালত। অন্য একটি কক্ষে রয়েছে তথ্য কেন্দ্র, রয়েছে সচীবের অফিস রুম। এছাড়াও রয়েছে একটি হল রুম। প্রতিটি কক্ষ ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। প্রতিটি কক্ষের পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাঁদ থেকে পানি পড়ে।
এ ইউনিয়নে রয়েছে ১টি কমিউনি টিক্লিনিক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি, মাদ্রাসা ৫টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৬৪টি, মন্দির ২টি। প্রায় ৪৩ হাজার জন সাধারণ অধ্যুষিত এ ইউনিয়ন। দূর দূরান্তের লোকজনকে বিভিন্ন কাজে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়। পরিষদের ভবনে বিশ্রাম কিংবা বসার সুযোগ না থাকায় লোকজনেকে বিভিন্ন দোকান পাটে বসে থাকতে হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটন বলেন, তিনি নির্বাচিত হবার পরে ২ বার ভবনটি নিজ উদ্যোগে সংস্কার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসকের ডিডিএলজি কর্মকর্তা ও গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।