বগুড়ার শেরপুরে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর বিরুদ্ধে টাওয়ার নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। কোনরকম আইনের তোয়াক্কা না করেই কৃষি জমি জবর দখল করা হচ্ছে। ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবী করেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে এক লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিদ্যুতের এই চাহিদাপূরণের লক্ষ্যে ‘বড় পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন’ প্রকল্পের আওতায় সরকার ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ১২০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) শেরপুর উপজেলার উচরং গ্রামেও টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন জমির মালিকেরা ফসলাদী ও বৃক্ষরাজীর ক্ষতিপূরণ পেলেও জমির ক্ষতিপূরণ পাবেন না। এক্ষেত্রে ১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইন, ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইনের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের মাধ্যমে ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইন রোহিত করা হয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ আইনে ১২ (১) অনুচ্ছেদে জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। এভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে জমি জবর দখল করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন।
এদিকে জমিতে টাওয়ার নির্মাণের জন্য মালামাল মজুদ ও পরিবহনের জন্য প্রায় ৪০ বিঘা আবাদি জমি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কোন মালিক এখনও কোন ক্ষতিপূরণ পান নি। এ ক্ষতিপূরণ তারা কখনই পাবেন না বলে তাদের আশংকা। বিষয়টি পুণঃবিবেচনার জন্য তারা ইতমধ্যে শেরপুর উপজেলার ইউএনও ও বগুড়া জেলার ডিসির নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেছেন।
ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জমির মালিকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তারা জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মো. গোলাম আজম বলেন, আমরা জমি দিতে না চাইলে মামলা ও পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যয় বিচার দাবি করেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে স্মারক লিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।