পিরোজপুরের নাজিরপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে থানা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে আসামি ও তার লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুনিরাবাদ গ্রামে। এ সময় পুলিশ ওই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. বেল্লাল হাওলাদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মিনারা বেগমকে আটক করেন। আটককৃত বেল্লাল হোসেন ওই গ্রামের মো. আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে। এ সময় হামলার কাজে ব্যবহৃত লোহার দু’টি শাবল, একটি হাতুড়ি, একটি যুতি, একটি লোহার রড়, লোহার শাবল সহ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির তাদের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় (৭নং ওয়ার্ড) মো. শাহ জালাল জানান, ওই রাতে থানা পুলিশ তাকে (মেম্বার) ও স্থানীয় চৌকিদার মো. হাফিজুর রহমানের সহায়তায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হিসাবে তাদের গ্রেফতারের জন্য যান। এ সময় তারা (স্বামী-স্ত্রী) সহ পরিবারের অন্যরা তাদের ঘরে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালাতে এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে ওই বাড়ির সবাই ডাকাত বলে চিৎকার করে পুলিশের উপর হামলা করতে এগিয়ে আসে। সেখানে অভিযানে যাওয়া থানার এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ওই বাড়িতে গেলে তারা পুলিশকে হত্যার জন্য হামলা চালাতে এগিয়ে আসে। তবে কেউ আহত হন নি। পরে স্থানীয় বৈঠাকাটা ফাঁড়ি পুলিশ ও নাজিরপুর থানা পুলিশ নিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মিনারা বেগম জানান, তার নামে জমি-জমা সহ বিভিন্ন ঘটনায় ৭০টি মামলা হয়েছে। তিনিও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৭১টি মামলা করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজালালসহ স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতারকৃতরাসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা অত্যান্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির লোক। তাদের কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ট। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে।