ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় বিদেশে থেকেও তিন প্রবাসীকে মামলার আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকারকে আসামি করায় এলাকাবাসীর মাঝেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এই মামলার ৫. নাম্বার আসামি করা হয়েছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকারকে।এবং বিদেশে থাকা আসামিরা হলেন- ২১. নাম্বার আসামি মো. বাক্কী মিয়া (৩২), পিতা মৃত সমন মিয়া, ২৯. নাম্বার আসামি মন মিয়া (৫০), পিতা মৃত মরাজ মিয়া, ৩৮. নাম্বার আসামি সোহেল মিয়া (৩২), পিতা মৃত ধন মিয়া। এই সংঘর্ষ চলাকালীন সময় তারা বিদেশ তবুও তাদেরকে আসামি করায় স্থানীয় লোকজনের মনে অনেক প্রশ্ন উঠছে।
প্রবাসীদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা বলেন,‘মামলা করার পরে আমরা জানতে পেরেছি আমাদের সন্তানদের এ মামলার আসামি করা হয়েছে। কিন্তুু আমাদের সন্তানরা এ সংঘর্ষের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয়। পুলিশ কি ভাবে নাম দিলেন তাদের আমরা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাাচ্ছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যারা সংঘর্ষের সাথে জডতি তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হক। পাশাপাশি যারা বিদেশে আছেন তাদের নাম কেটে দেওয়া হক।৩১ নাম্বার আসামীর বাবা মন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমার ছেলে বাক্কী তিন বছর যাবৎ বিদেশে আছে।পুলিশ কিভাবে আমার ছেলেকে আসামি করল তা আম,ার মাথায় আসে না।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদি আশুগঞ্জ থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখব প্রবাসে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারলে তদন্তের মাধ্যে তাদের নাম বাদ যাবে। অযথা নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না।
যদিও বিষয়টি স্বীকার করেছেন সরাইল ও আশুগঞ্জ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুরন রহমান জানান, প্রবাসে থাকা তারা তিন জন বিদেশে আছেন কিনা সে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্তের সময় কোন ধরের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রবাসীদের নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হবে।
উল্লেখ গত (২ এপ্রিল ) শনিবার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আনু সরকার এর বাড়ি ও শেয়াল বাড়ির লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এরই জের এই উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে নেমে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে অন্তত ৪ জন পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় এক সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় ৭০ জনের নামোল্লেখ এবং আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। আর এই মামলায় চার জন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখান আশুগঞ্জ থানার পুলিশ।