কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রতি বছরেই চরাঞ্চল ও কাইম এলাকায় বেশী রসুন চাষ হয়। রসুনের ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু গত ২দিনের বৃষ্টিতে কোন কোন এলাকায় রসুনের খেতে পানি জমে থাকায় কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। চৈত্র মাসের প্রবল বৃষ্টির ফলে রসুন চাষিরা দুশচিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়। কেউ ড্রেন তৈরি করে বা থালা দিয়ে পানি অপৃসারনের চেষ্টা করেছেন। আবার কেউ পানি অপসারন করতে না পেরে বাধ্য হয়ে কাদার মধ্যেই রসুন চাষি তুলছেন। রাজার ভিটা এলাকার রসুন চাষি মোঃ কেরামত আলী বলেন টানা ২দিনের বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে গেছে এখনো রসুন তোলার সময় হয়নি। রসুনের জমিতে পানি জমায় বাধ্য হয়ে রসুন তুলতে হচ্ছে। জমিতে পানি জমে থাকলে রসুন পচে যেতে পারে এজন্য কাদার মধ্যে রসুন তুলে তা আবার ধুয়ে নিতে হচ্ছে। পুটিমারী কাজলডাঙ্গা এলাকার রসুন চাষি ফজলুল হক জানান এমনিতেই বাজারে রসুন এর দাম কম। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকাসান হওয়ার সম্ভবনা। তার উপর বৃষ্টির পানি, রসুনের জমিতে জমে থাকলে পচন ধরবে, এতে করে রসুনের ব্যপক ক্ষতি হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রনয় বিষান দাস বলেন এবছর এ উপজেলায় ৩শ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর রসুনের ফলনও ভালো হয়েছে তবে গত ২দিনের বৃষ্টিতে ক্ষতি তেমন একটা হবে না।