বরগুনার বেতাগী উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে ও-পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ১ নং বিবিচিনি ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, ওই এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাক শিকদারের ছেলে ও দক্ষিণ ফুলতলা মুজাফফার হাওলাদার বাড়ির জামে মসজিদের খতিব মোস্তাফিজুর রহমান সিকদার ও মোস্তাফিজের স্ত্রী মাহিনুর বেগম এবং মা হোসনে আরা বেগম।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় মোস্তাফিজুর কে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং অন্যান্যরা বেতাগীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
আহত মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার পরিবারের ক্রয়কৃত ও পৈতৃক ওয়ারিশ জমি নিয়ে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই জিন্নাত আলীর ছেলে সজীব ও তার পরিবারদের বিরোধ চলে আসছে।
সজীব ও তার পরিবারের সহযোগীরা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার পরিবারের জমি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা চালায়।
বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজমান রয়েছে।
প্রায় সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সজীব ও তার সহযোগীরা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ খুন জখমের হুমকি দেয়।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে জমি নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে সজিবের দ্বন্দ্ব হয়।
এরই জের ধরে একপর্যায়ে সজীব ও তার মা পারুল বেগম সহ ৭-৮ জন সহযোগী মুস্তাফিজুর রহমানের ঘরের মধ্যে ঢুকে মুস্তাফিজকে হত্যার চেষ্টায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় তাকে বাঁচাতে মুস্তাফিজের স্ত্রী মাহিনুর বেগম এবং মা হোসনে আরা বেগম আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে সজীব সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। সেখানে মোস্তাফিজুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় বেতাগী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনরা জানান।