রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দেশের সবচেয়ে বড় লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক (ভিআইই) স্থাপন করা হয়েছে। আর সেন্ট্রাল এই অক্সিজেন প্লান্টের ধারণ ক্ষমতা ৩০ হাজার লিটার। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ৩০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন সমালোচকরা। তাদের ভাষ্য বিশ্বমহামারী পরিস্থিতিতে এমন একটি ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন প্লান্টের প্রয়োজন ছিল। তবে এখন এটির সঠিক ব্যবহার হওয়া নিয়েও শঙ্কা করেছেন তারা।
লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংকের বিষয়ে রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশের আর কোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এত বড় লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক (ভিআইই) নেই। করোনা মহামারী চলাকালীন হাসপাতাল পরিচালক আমাকে হাসপাতালের অক্সিজেন নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন। সে সময়টিগুলোতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমাদের হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এ কারণে ওই সময়গুলোতে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকতাম। কারণ এই কোম্পানির কারখানাটা যমুনা নদীর ওপারে। একদিন লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক দুর্ঘটনায় পড়েছিল। আর ওই সময় অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা গেলে সরবরাহ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওই সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা কোনোভাবে এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ বলেন, সে সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমাদের এই ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক পরিবর্তন করে এটার ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর সেই ধারাবাহিকতায় ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক পরিবর্তন করে ৩০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট করা হয়েছে। যেটি বুধবার (৬ এপ্রিল) ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।