নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব কান্ড নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিরশনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ঘটনার পর পরই অভিভাবকেরা অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ওই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিষয়টি নিরসন করে নিবেন বলে জানান। ওই শিক্ষিকা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
শুক্রবার সকালে ওই শিক্ষিকা আমোদিনী পাল বলেন, তিনি হিজাব পড়ার জন্য নয়, বরং স্কুল ড্রেস না পড়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সামান্য শাসন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ শেষের দিকে। তাই এখানে বিভিন্ন গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদের মধ্যে মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায়, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের আলফা ২, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসআইয়ের কর্মকর্তা, মহাদেবপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রমুখ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিভাবকদের মধ্যে হাসানপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার, এনামুল হক, আবদুল হান্নান, শরিফুল ইসলাম, রঞ্জু, এরশাদ আলী, অলংকারপুর গ্রামের সাকলাইন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যে হিজাব পড়ার অপরাধে তাদের মেয়েদেরকে বেদম মারপিট করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাবীবুর রহমান জানান, ওই শিক্ষিকাকে ৭ দিনের সোকজ করা হয়েছে।