নানা সমস্যায় জর্জরিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পদোন্নতি, পদায়ন, বদলীতে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ রয়েছে। গত আড়াই বছর যাবৎ বদলি বন্ধ রয়েছে। পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে প্রায় নয় বছর। এ ছাড়া প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক স্বল্পতা, উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বর্তমান কাঠামোতে প্রধান শিক্ষক ছাড়া মাত্র চারজন শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। কোন কোন বিদ্যালয়ে ১ জন শিক্ষক দিয়েও চলছে ক্লাস। গত ডিসি সম্মেলনে জেলাপ্রশাসকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আরো দুই জন করে শিক্ষক প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। একজন শিক্ষককে অধিক ক্লাসে পাঠদান করতে হয়। এতে তারা দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বেতন ভাতার সঙ্গে বাজার ব্যবস্থার কোন সঙ্গতি নেই। উপরিউক্ত পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের মধ্যে চাপক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রাথমিকে পৌনে চার লাখ শিক্ষক কাজ করছেন। এত বড় অংশকে পরিচালনা করতে একরকম হিমশিম খেতে হচ্ছে অধিদপ্তরকে। অনেকেরই অভিযোগ প্রশাসনের সব সেক্টরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন হলেও শুধু প্রাথমিকে কেন এত ধীরগতি, বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও নেয়া হয় না সিদ্ধান্ত। এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্দেশনা মানছেন না অনেক শিক্ষক। নিজের পেশা ও উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন আদেশ ও নির্দেশ সম্পর্কে প্রতিনিয়ত করছেন নেতিবাচক সমালোচনা। তবে শিক্ষকদের অভিযোগ প্রাথমিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তারা বলছেন ন্যায্য অধিকার এবং যৌক্তিক দাবীগুলো না মানার কারণেই সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে, এইসব ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৬৭ হাজার ৪৮০ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জন, মহিলা দুই লাখ ৩৫ হাজার ৯১১ জন। ব্রাম্মনবাড়িয়ার নাছিরনগর উপজেলার নওগা প্রা: বিদ্যালয়ে ২০৮ জন শিক্ষার্থী আছে, ৫টি পদের বিপরীতে ১জন শিক্ষক কর্মরত। নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ফাগুয়া স: প্রা: বিদ্যালয়ে ১৬৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, শিক্ষক মাত্র ২ জন। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মধ্যবিশারকান্দি স: প্রা: বিদ্যালয়ে ১৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, শিক্ষক মাত্র ২ জন। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মনুরপাড়া আজির উদ্দিন স: প্রা: বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক কর্মরত। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ডোয়াইবাড়ি মধ্যপাড়া প্রা: বি: ২জন শিক্ষক রয়েছে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিকরজোড়া স: প্রা: বিদ্যালয়ে ২শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে, শিক্ষক মাত্র ২ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঝে সমন্বয়হীনতার ঘাটতি রয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দুই-আড়াই বছরেও চূড়ান্ত রুপ দেখেনি। এ বিষয়গুলোর প্রতি সরকাকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বহু সংখ্যাক শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত বদলী বন্ধ থাকায় অনেকের সংসার ভাঙার উপক্রম। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় এরইমধ্যে বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটেছে একাধিক। আবার বাসস্থান থেকে বিদ্যালয় অনেক দুরে হওয়ায় বিরুপ প্রভাব পড়ছে জীবনযাপনে। ডিপিএড উর্ত্তীণ হয়ে বেতন কমে যাওয়ায় ক্ষোভ তীব্র। পাওনা উচ্চতর স্কেল। অধিকাংশ বিদ্যালয় সমূহ শিক্ষক সংকট হওয়ায় শ্রেণি পাঠদান বেশি করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের দামে সাথে নিজেদের বেতন সমন্বয় না হওয়ায় সংসারে আর্থিক টানাপোড়েন। এসব নানাবিধ সমন্বয়হীনতা থাকায় শিক্ষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এসব বিষয়ের বহি: প্রকাশ ঘটছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক শিক্ষকদের বহু সংখ্যাক গ্রুপের স্টাটাস, কমেন্টে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের লেখা। যার বড় অংশ বেতনভাতা এবং দীর্ঘদিনের দাবী দাওয়ার বিষয়ে। মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের বিভিন্ন নির্দেশনাকে অবজ্ঞা করে অনেক শিক্ষক কটুক্তি, উস্কানীমুলক পোষ্ট করে থাকেন। এসব পোষ্টে সহ¯্রাধিক লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট পরে। অধিকাংশ কমেন্টে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নিজেদের পেশা, বেতন, পদ-পদবী নিয়ে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষকদের বড় অংশ। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে তামাশায় পরিণত করে অশ্লিলভাষা প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করছেন না বহু শিক্ষক। আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠে অনেকেই অন্যের পেশাকে বড় করে দেখে নিজেদের সুইপার, ড্রাইভারের সাথে তুলনা করছেন। এসব কমেন্ট দেখে ইতিবাচকভাবে লেখার জন্য কোন কোন শিক্ষক অনুরোধ করলেও তাকেও করা হয় ভৎর্সনা। অনেক শিক্ষক বিভিন্ন গ্রুপে লিখেছেন ‘বাংলাদেশের একটি মাত্র ডিপার্টমেন্ট এ উর্দ্বতন কর্তৃক অধস্তনদের উপর ক্ষমতার অপব্যবহার করে। নতুন ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ০২ মার্চ থেকে ২০ রমজান পর্যন্ত স্কুলে পাঠদান চলার বিষয়ে নির্দেশনা দিলেও সেটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের একটি অংশ ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। টিফিন ভাতা নিয়েও ক্ষোভ তীব্র। রমজানের ছুটি নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনা, পরিপত্র জারী করলেও সেটিও মেনে নিতে পারেননি অনেক শিক্ষক। সবশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কারণ দর্শানো নোটিশের বানান নিয়েও শিক্ষক গ্রুপগুলোতে রীতিমতো তোলপাড়। অধিকাংশ স্ট্যাটাস দেখা যায় তাদের বেতনসহ বিভিন্ন ন্যায্য ইস্যুতে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত ২৮ ফেব্রুয়ারী উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের সাথে জুম মিটিং এর মাধ্যমে এক মতবিনিময় সভায় সকল জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে নেতিবাচক প্রচার-প্রচারনাকারীদের চিিহ্নত করে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। এরপর কয়েকজন শিক্ষককে গুজব ছড়ানোর দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে অনেককেই।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখে একটি নির্দেশনা জারী করে। সেখানে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে নেতিবাচক স্ট্যাটাস/মন্তব্য ও বিভিন্ন অপপ্রচারমূলক তথ্য প্রদান করা হচ্ছে যা ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০১৬’ এর পরিপন্থী বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক একটি অফিস আদেশের ৩ স্তরের মনিটরিং টিম গঠন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নজরদারিতে আনতে মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে তিনটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন বদলী বন্ধ রয়েছে। দুর্নীতির লাগাম টানতে অনলাইনের কথা বলা হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট প্রকট। বদলী না হতে পেরে শিক্ষকরা পরিবার থেকে বঞ্চিত। হাজার হাজার শিক্ষক ডিপিএড উর্ত্তীণ হয়ে সনদ জমা দিয়ে বেতন কম পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে। বিদ্যালয় সময় কমানোর দাবী দীর্ঘদিনের। বেতনভাতা বৃদ্ধির দাবীতো রয়েছেই। ক্লাস রুটিন তৈরিতেও শিক্ষকদের মতামত নেয়া হচ্ছে না। ফলে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে নেতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন অনেকেই। শিক্ষকদের দাবী দাওয়ার জন্য সংগঠন আছে। গ্রুপে সবাই শিক্ষক নয়, অনেকেই বহিরাগত। নেতিবাচক সমালোচনার কারণে শিক্ষকতা পেশা হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে এর নেতিবাচক প্রভাব পরছে। তবে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবীগুলো পূরণ করে শ্রেণিপাঠদানে মনোযোগী করার আবেদন জানিয়েছেন তারা।
প্রাথমিক সহকারী ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান বলেন, সকল পর্যায়ে বদলী চালু থাকলেও শুধু শিক্ষকদের বদলী বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষকের সংসার ভাঙ্গার কারণ হয়ে দ্াঁড়িয়েছে। বদলীর আগে নিয়োগ হলে শিক্ষকরা বদলী হতে পারবে না। অতি দ্রুত বদলী চালু করে শিক্ষকদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করার সুযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, কিছু সহকারি শিক্ষক আছেন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন যা বিব্রতকর এবং দুখ:জনক। তিনি বলেন, দুই বছরের বেশি হয়ে গেলো বদলি বন্ধ। এখানে মহিলা শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, তাদের পারিবারিক নানান সমস্যা। এছাড়াও প্রায় নয় বছর ধরে প্রাথমিকে পদোন্নতি নেই যার ফলে শিক্ষকদের মাঝে একটা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই শিক্ষক নেতা বলেন, মাঠ পর্যায়ে কোনো আন্দলোন নাই, মানববন্ধন নাই যার কারণে ফেসবুককে তারা (কতিপয় সহকারি শিক্ষক) প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন, আসলে এটা তাদের বুঝের আভাব। এটা এক ধরনের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এরফলে যারা কর্মকর্তা আছেন, উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের মাঝে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে একটা খারাপ ধারনা আসছে। এটা আসলেই খুবই পিড়াদায়ক। মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, সরকার তার ডির্পাটমেন্ট যেভাবে চালাবেন সেভাবেই আমাদের চলতে হবে। তাদের তো নিজস্ব একটা স্বকীয়তা আছে এর বাইরে আসলে শিক্ষকদের নাক গলানো ঠিক নয় বলেও জানান এ শিক্ষক নেতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা মনিটরিং টিমের সভাপতি ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সোহেল আহমেদ গতকাল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়টা নিয়ে জেলা অধিদপ্তর এবং বিভাগ পর্যায়ে কমিটি করে দেয়া হয়েছে তারাই মনিটরিং করছেন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের সতর্ক করে দিতে ওই সকল টিম কাজ করছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে গেলেই বদলি ও পদায়ন নিয়ে কাজ করবে অধিদপ্তর। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি সকল জোট আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করেন সরকারের এ কর্মকর্তা।
২০২১ সালের শুরু থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের বিভিন্ন নামীয় এসব গ্রুপের পোষ্ট, কমেন্ট, শেয়ার পর্যালোচনা করে। ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ সদস্য রয়েছে গ্রুপগুলোতে। প্রতিটি গ্রুপে এডমিন, মডারেটর রয়েছে প্রাথমিকের শতাধিক শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষকদের ছোট বড় অর্ধশতাধিক গ্রুপ রয়েছে। অধিকাংশ গ্রুপ পাবলিক, কোন ধরনের প্রশ্ন ছাড়াই গ্রুপে জয়েন করা যায়, ফলে যে কেউ তাদের পোষ্ট, কমেন্ট দেখতে পায়। অনেক শিক্ষক গ্রুপের পোষ্ট টাইমলাইনে শেয়ার করেন। শিক্ষকদের গ্রুপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শিক্ষক ফোরাম, টিচার্স ফোরাম, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষক কণ্ঠ, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পরিবার সারাবাংলা, আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার, প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সারা বাংলা, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক পরিষদ (বাপ্রাসশিপ), বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক পরিবার, হেড টিচার্স অব জিপিএস বিডি, শিক্ষক বাতায়ন, প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক অধিকার, প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ অনলাইন সমিতি, প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক অধিকার, ‘প্রাথমিক শিক্ষক ॥ বাংলাদেশ, প্রাথমিক শিক্ষক কণ্ঠস্বর, সরকারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া, প্রাথমিক শিক্ষক কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক কণ্ঠ, “প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ”, প্রাথমিক শিক্ষক’দের সুখ দু:খ, এসিস্ট্যান্স টির্চাস অব জিপিএস বিডি।