তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্ব দেবেন দেশের মেধাবী তরুণেরা। তাঁদের সুযোগ্য করে গড়ে তুলতে কম্পিউটারের ভাষা প্রোগ্রামিং শেখাতে হবে।‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ কালাইবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে। আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে বের হয়ে তরুণ উদ্যোক্তারা আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে যেনো ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারেন সে লক্ষ্যে কালাই উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।
শনিবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নে বালাইট এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি’র সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মিনফুজুর রহমান মিলন। সঞ্চালনায়ে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে জনসভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, তরুণদের মেধা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করতে ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করবে 'শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ- ইনকিউবেশন সেন্টার। প্রোগ্রামিং শেখার ওপর গুরুত্বরোপ করে প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ভবিষ্যৎ দক্ষতানির্ভর প্রযুক্তির ভাষা প্রোগ্রামিং জানা থাকলে পৃথিবীর সব ভাষাতেই যোগাযোগ করা যাবে। আমাদের তরুণরা অনেক মেধাবী। তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ও ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে না পারলে মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটবে না। সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইন্ডাস্ট্রি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তরুণদের যোগ্যতা ও মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। মাত্র ১৩ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্বে প্রযুক্তি শিল্প থেকে রপ্তানি আয় দাড়িয়েছে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চাই। আমরা আশা করছি আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই আইটি ট্রেনিং সেন্টার এর নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে এবং দুই বছরের মধ্যে এখানে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো। এখান থেকে প্রতি বছর এক হাজার তরুন প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলারই আধুনিক যুগ। প্রতিযোগিতার এই যুদ্ধে আমাদের তরুদের টিকে থাকতে হলে পর্যাট শিক্ষার বিকল্প নাই। সরকার এজন্যই একটি প্রযুক্তিনির্ভর জাঁতি গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছে। “শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ- ইনকিউবেশন সেন্টার' থেকে ট্রেনিং নিয়ে এখানকার তরুণ-করুণীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখন থেকে আর চাকুরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকুরি দিবে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত একারণে যে আজ জয়পুরহাটে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডিজেল প্লাান্ট লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম এসপিপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পি এএ, জযপুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান রকেট, জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার (পি পি এম) মো.মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জাকির হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী পলক একই স্থানে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৪২জন প্রশিক্ষণার্থীদের ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।