কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ১০৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২২ বছর ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৮ টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শিক্ষকগণ হিমশিম খাচ্ছেন। আর সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২১৬টি পদের মধ্যে ৩৮টি সহকারী পদ শূন্য রয়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক অফিসের কোন নজরদারী না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ এই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গত ২২ বছর ধরে চলতি দায়িত্ব প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা যেন একেবারে নিমিষে চলে যাচ্ছে। গত ২১ মাস করোনা ভাইরাসে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। গত কিছুদিন ধরে সরকার করোনা ভাইরাস হ্রাস পাওয়ার কারণে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা নিচ্ছেন। বাজিতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীন বলেন, এই শূন্য পদগুলো পূরণ হলে বাজিতপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা সচল হবে বলে আশা পূষণ করেন।