পাবনার সুজানগরে মহিলা শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তারপরও জীবনজীবীকার প্রয়োজনে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা শ্রমিক ঐক্য সংগঠন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৭হাজার মহিলা শ্রমিক রয়েছে। ওই সকল শ্রমিকরা উপজেলার বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা, বাসা-বাড়ী, ইটভাটা এবং রাস্তায় মাটি কাঁটার কাজ করে থাকেন। আর ওই সকল শ্রমিকের বেশীরভাগই স্বামী পরিত্যক্তা এবং বিধবা। এ ছাড়া স্বামীর সংসারে অভাব-অনটনের কারণেও অনেকে মহিলা শ্র্র্রমিকের কাজ করেন। তবে ওই সকল মহিলা শ্রমিকরা পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করলেও তাদের চরম মজুরি বৈষমের শিকার হতে হয় বলে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা অভিযোগ করেন। রাস্তায় মাটিকাটা শ্রমিক শিউলী খাতুন এবং হোটেলে কাজা করা শ্রমিক মাজেদা খাতুন জানান, তারা সারাদিন পুরুষ শ্রমিকের সাথে প্রতিযোগিতা করে কাজ করেন। অনেক সময় পুরুষ শ্রমিক কাজে ফাঁকি দিলেও তারা যথারীতি কাজ করেন। কিন্তু দিন শেষে একজন পুরুষ শ্রমিক মজুরি পায় ৫ থেকে ৬‘শ টাকা আর মহিলা শ্রমিকদের দেওয়া হয় ৩ থেকে ৪‘শ টাকা। তবে এ ব্যাপারে তাদের প্রতিবাদ করারও সুযোগ নেই। কারণ প্রতিবাদ করলেই বিনা নোটিশে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে তারা নিরুপায় হয়ে দিনের পর দিন কম মজুরি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে শ্রমিক নেতা জালাল উদ্দিন বলেন মজুরি বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়ে শিগগিরই মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক করা হবে।