ফরিদগঞ্জে মেয়ের গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ৩ সন্তােেনর মাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন ভূঁইয়াকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ভাওয়াল গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। পরে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে গত ১০ এপ্রিল রোববার রাতে ফরিদগঞ্জ থানা সুমন ভূঁইয়া ও ইউনুছ বরকন্দাজকে আসামি করে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ দিকে ধর্ষনের শিকার ওই গৃহবধু চাঁদপুর সরকারি জেলারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গৃবধূর স্বামী নুরুল আমিন পাটওয়ারী জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি আমার বাড়ির বিদেশ ফেরত বন্ধু ইসমাইল হোসেনকে তার শ^শুর বাড়ি পশ্চিম ভাওয়াল গ্রামে এগিয়ে দিতে যাই। এই সুযোগে লম্পট সুমন ভূঁইয়া ও ইউনুুছ আমার ঘরে প্রবেশ করে। তারা ঘরে ঢুকে আমার মেয়ে ও স্ত্রীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সুমন ভূঁইয়া আমার স্ত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এই সময় আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ করতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে নূরুল আমিন পাটওয়ারী জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গত দুই দিন যাবত আমার স্ত্রী অনবরত কান্না করতে দেখে আমি আমার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে মান সন্মানের ভয়ে প্রথমে বলতে চায়নি, আমি তাকে অভয় দিয়ে কারণ জানতে চাইলে পরে তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা আমাকে খুলে বলে। বর্তমানে আমার স্ত্রী শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল পাটওয়ারী বাড়ির রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়া এবং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা গ্রামের বরকন্দাজ বাড়ির কলমতরের ছেলে মো. ইউনুছ বরকন্দাজ।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ধর্ষণের খবর পেয়ে বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সুমন ভূঁইয়াকে আটক করেছি। অপর আসামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।