ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বেড়েছে শিয়ালের আক্রমণ। গত দু'দিনে উপজেলায় নেকমরদ ইউনিয়নের কুমোরগঞ্জ এলাকায় শিয়ালের কামড়ে অন্তত ১৪জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে ওই এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামবাসী এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করেছে এবং অনেকেই লাঠি হাতে চলাচল করতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার (৯এপ্রিল) শিয়ালের আক্রমণের শিকার হয়েছেন কুমোরগঞ্জ এলাকায় দিনমজুর বনগাঁও গ্রামের আনসার, কুমোগঞ্জ গ্রামের মাজেদা, শরিফা, নবাব,সোহাগী, চটকু,শান্ত,রেহেনা, মতিউর প্রমূখ।
একইভাবে শনিবার (৯ এপ্রিল) শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন, রেহেনা, মমিনুল ও সাজেদা বেগম। কুমোরগঞ্জ গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, ‘শনিবার সকালে ভুট্টাখেতের পাশে আমার প্রতিবেশী রেহেনা ঘাস তুলছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি শিয়াল এসে রেহেনার হাঁটুর নিচে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে আমরা এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
সেখানে ভ্যাকসিন করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় বাজার থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে রেহেনাকে দেওয়া হয়। তিনি এখন চিকিৎসাধীন। এলাকার আরও কয়েক জন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
যোগাযোগ করা হলে নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আবুল হোসেন মাষ্টার জানান, গত দুইদিনে ইউনিয়নের কুমোরগঞ্জ এলাকায় কয়েকজনকে শিয়াল কামড়েছে। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ আছে। 'আগে অবশ্য শিয়াল কখনও কামড়ায়নি, কিন্তু এখন শিয়ালগুলো পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। তাই তারা মানুষের বাড়তি এসে পড়ে, মানুষকে কামড়ায় বলেন তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাসিরুল ইসলাম-বলেন, 'শিয়াল সাধারণত ২ কারণে মানুষকে আক্রমণ করে। পর্যাপ্ত খাবার না পেলে বা আক্রমণের শিকার হলে এবং র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে।'
তিনি বলেন, 'পাগলা শিয়াল কাউকে কামড়ালে, তাকে জায়গাটা পরিষ্কার করতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে জলাতঙ্ক টিকা নিতে হবে।'
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে টিকা বিষয়ক কর্মকর্তা (এমটিইপিআই) নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় কুকুর ও শিয়াল কামড়ের ভ্যাকসিন সরবাহ নেই। তাই এসব রোগীদের আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারছি না। সরকারিভাবে ভ্যাকসিন নিতে হলে ওই রোগীদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে যেতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন- বিষয়টি আমি শুনেছি- বণ্য বিভাগের সাথে কথা বলা হয়েছে,দেখি কি করা যায় একদিকে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অপর দিকে মানুষের ক্ষতি হতে রক্ষা পাবে।