বহুমুখী কৃষিকাজ করে জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন ফরিদপুরের আদর্শ কৃষক আলম বেপারী। নিজের জমি না থাকলেও অন্যের জমি লিজ নিয়ে করেন চাষাবাদ। চলতি রবি মৌসুমেই এক কোটি টাকার ফসল ঘরে তুলেছেন এই কৃষক। তার এই কৃষি কাজে সহযোগিতা করছেন ফরিদপুর মসলা গবেশেনা উপ-কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিকরা। পাশে আছেন ফরিদপুর কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নরসিংহদিয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক আলম বেপারী। দরিদ্র কৃষক করিবারে জন্মগ্রহণ করা কারণে লেখাপাড়ায় বেশি দূর যেতে এগুতে না পারলেও কৃষিকাজ করে বৈচিত্রময় ফসল উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছেন জেলা জুড়ে। নিজের জমি না থাকলেও অন্যেও জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন কৃষিকাজ। দীর্ঘদিনের কঠর পরিশ্রম তাকে অর্থনৈকি ভাবে করেছে স্বচ্ছল। একসময় বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি না থাকলেও, এখন সবই হয়েছে তার। কৃষি কাজ করেই ভাগ্যের পরিবর্তণ ঘটিযেছেন। সে একাই স্বাবলম্বী হননি, তার পাশা পাশি অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে তারা মাঠে। তারাও আলম বেপারীর মাটে কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই আছেন। আদর্শ কৃষক আলম বেপারীর কাছে এলাকার চাষিরা ও আশে পাশের জেলার চাষিও এসে পরামর্শ নিয়ে থাকেন।
এলাকাবাসী বলেন, একসময় আলম বেপারীর কিছুই ছিলো না। অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম করে সে এখন অনেক সম্পদের মালিক হয়েছে। সব ধরনের ফসল উৎপাদন করে সে এখন কোটি পতি। আমরাও আলম বেপারীর কাছ থেকে চাষাবাদের বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকি।
আদর্শ কৃষক আলম ব্যাপারী জানার, চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল বারি পোঁজ-৪ ৬৫বিঘা জমিতে চাষ করে ৭হাজার মন পেঁয়াজ পেয়েছি, বারি সরিষা ১৮ ও ১৭ পেয়েছি ১৬০মন, পেঁয়াজের বীজ ২০মন, কালোজিরা ১৬০ মন, সূর্যমুখী বীজ ১২০মন, বারি গম-৩৩ পেয়েছি ৩২৫মন এছাড়াও অন্যান্য সফল চাষ করেছি। এই মৌসুমে সবমিলিয়ে এক কোটি টাকার ফসল ঘরে তুলেছি। সব খরচ বাদ দিয়ে আশা করছি ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লাভ থাকবে।
ফরিদপুর মসলা গবেষনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আলাউদ্দীন খান বলেন, আলম বেপারী একজন অগ্রগামী কৃষক। সে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে থাকে। চলতি রবি মৌসুমে আমার ধারনা কোটি টাকার ফসল সে ঘরে তুলবে। কৃষক আলম বেপারীকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকি।