বরগুনার তালতলীতে সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার ভুক্তভোগী সাংবাদিক তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মাহমুদুল হাসান তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক খোলা কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি।
জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকার হাফেজ মল্লিক ও দুলাল খানের সাথে সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ওই দুলাল খানের ভাড়াটিয়া একাধিক মামলার আসামি ভূমিদস্যু শহিদুল ইসলাম (৪৫) ভুক্তভোগী সাংবাদিককে বিভিন্ন সময় সরাসরি ও মোবাইল ফোনে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছেন। সোমবার দিবাগত রাত ৯ টা ৪৮ মিনিটের দিকে শহিদুল ইসলাম ০১৭১৩৯৩২৪৫৮ নাম্বার থেকে ভয়-ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। মোবাইলে বলেন তুই কোথায় আছো, তুই আমার হাত থেতে বাঁচতে পারবি না। তোকে যেখানে পাইবো সেখানেই মারধর করবো ও হাতপা ভেঙ্গে পঙ্গু করে ফেলবো। আরও বলেন তুই তোর দখলী জমি থেকে চলে যাবি। ঔ জমি আমার দরকার, ওখানে থাকার চেষ্টা করলে তোকে খুন করা হবে এই বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য ও বিচার চেয়ে তালতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান। যার জিডি নং ৪৫৮।
সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান বলেন ভূমিদস্যু শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার মুঠোফোনে আমাকে এ হুমকি দেয়।
এবিষয় হাফেজ মল্লিক বলেন, শহিদুল ইসলামের বিষয়ে কিছু জানি না। সে যদিও আমার লোক কিন্তু কাউকে আমি হুমকি দিতে বলিনি। যদি কাউকে হুমকি দিয়ে থাকে তার দায়ভার আমি নিবো কেন।
এবিষয় তালতলী মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন জমিজমা নিয়ে ঝামেলা থাকতেই পারে। সেটা আইনের মাধ্যমে সমাধান হবে। তাই বলে ভারাটে লোক দিয়ে সাংবাদিককে মৃত্যুর হুমকি দেওয়াটা মোটেই উচিত হয়নি। আমরা এই ভূমিদস্যু শহিদুল ইসলামের বিচার চাই।
তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান একটি জিডি করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।