ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মারধর ও জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করেছে এক সংখ্যালঘু হিন্দু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও মুদি ব্যবসায়ী গোপীন্দ্র চন্দ্র সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোবিন্দ্র চন্দ্র সাহা বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত পাশ^বর্তী বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে পাইকারী ও খুচরা মুদি ব্যবসা করে আসছি। সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে এলাকার চিহ্নিত জুয়ারি ও মাদক ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বিভিন্ন সময় আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০-১৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। গত ২৫ মার্চ সিঙ্গারবিল বাজারে সে তার অফিসে আমাকে ডেকে নিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মানিক মিয়া ও তার লোকজন আমাকে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে মানিক ও তার সঙ্গীয়রা জোরপূর্বক ১’শ টাকা করে তিনটি নন জুডিসিয়াল স্টাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়। আমার চিৎকার শুনে বাজারের লোকজন আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎস নিয়ে সুস্থ্য হয়ে মানিকের ভয়ে থানায় না গিয়ে আদালতে স্ট্যাম্প উদ্ধার ও মারপিটের দুটি মামলা করি। মামলা করার পর থেকে মানিক ও তার লোকজনের হুমকি ধমকিতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি সরকারের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মানিক মিয়াকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।