হাইকমান্ডের সকল নির্দেশনা ও দলীয় কর্মকা- বাস্তবায়ন করতে সবসময় জনগনের কাছে যান তিনি। বাপ দাদাও ছিলেন, রাজনীতির সর্বোচ্চ জায়গায়। তার দাদা আহম্মদ হোসেন উকিল ছিলেন অবিভক্ত বাংলার কৃষিমন্ত্রী। তাই দাদার যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে বংশ পরম্পরায় নিজেকে জণকল্যানেই ব্যস্ত রাখতে চান। ছুটে চলেন গণমানুষের মাঝে। তিনি হলেন, তরুণ ও ক্লিন ইমেজের আ'লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান নিটল। সাঘাটা ও ফুলছড়ির রাজনীতিতে একজন পরিচিত মুখ। আগামী সম্মেলনে সাঘাটা উপজেলায় সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী এই নেতা। তৃণমুলে রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে অবদান রাখতে চান আজীবন।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলকে সু-সংগঠিত করতে যেমন আদর্শবান, সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের খুঁজছেন, নিজেকে তেমন নেতৃত্বের কাতারে যোগ করতে চান এই নেতা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কেন প্রার্থী হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুর রহমান নিটল বলেন, দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও আওয়ামী পরিবারের নেতা কর্মীদের বিপদ আপদে আমাকে সবসময় তারা কাছে পান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ধর্মীয় উৎসব ছাড়াও সময়ে অসময়ে বিভিন্ন ভাবে এলাকার লোকজনকে সহযোগিতা করে আসছি। এজন্য আমাকে এ পদে দেখতে চায় তারা। বিধায় আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করি দলও আমাকে সে মুল্যায়ন করবে ইনশাআল্লাহ।
উপজেলায় রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া মাহবুবুর রহমান নিটল একজন তরুণ ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ। অবিভক্ত পূর্ব বাংলার কৃষি মন্ত্রণালয় সহ ৮টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তার দাদা উত্তরবঙ্গের গর্ব মরহুম আহম্মেদ হোসেন উকিল। তারই সুযোগ্য নাতি মাহবুবুর রহমান নিটল। তার পিতা মৃত আব্দুল্লাহ আল হাদী ওই সময়ে সাঘাটা উপজেলার ৯নং কামালেরপাড়া ইউনিয়নে পরিষদের একজন সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। নিটল আওয়াামীলীগের রাজনীতিতে ইতোমধ্যেই সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার মানুষের কাছে অতি পরিচিত মুখ হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম ও দলীয় বিভিন্ন মিটিং ও স্থানীয় সভা-সমাবেশে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সামনে। সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ আগ্রহের আমেজ দেখা যাচ্ছে। পছন্দের নেতাকে বিভিন্ন পদে দেখতে চেয়ে রঙিন পোস্টার ফেস্টুন ছাড়াও নানাভাবে প্রচার চোখে পড়ছে। পছন্দের নেতাদের নানা কর্মকা- উল্লেখ করে প্রশংসায় ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
মাহবুবুর রহমান নিটল জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে সাঘাটা-ফুলছড়িতে দলের কাজ করে আসছি। দলীয় প্রায় সব আয়োজনে অংশগ্রহণ করে আসছি। দলীয় পদ পেলে আমি দলকে আরও ভালো কিছু দিতে পারব। ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানান এই নেতা।
তিনি জানান, সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার প্রাক্তন আওয়াামীলীগ নেতা মরহুম হাবিবুর রহমান সংসদ নির্বাচন করার সময়কাল থেকেই নৌকার পক্ষে মাঠে কাজ করেছি। ২০০৪ সাল থেকে স্থানীয় আওয়াামী লীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে নিয়োাজিত রেখেছেন। সামনের সম্মেলনে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে এলাকার রাজনীতি এগিয়ে নেওয়া ছাড়াও দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন বলে মনে করেন, তার স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা।