পাবনার সুজানগরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর একদম নীচে নেমে গেছে। ইতোমধ্যে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় উপজেলায় ১০ হাজারেরও বেশি টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে উপজেলার সর্বত্র পানীয়জলের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানায়, সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বাসা-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার হস্তচালিত টিউবওয়েল রয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রচ- খরা এবং দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নীচে নেমে গেছে। এতে ওই সকল টিউবওয়েলের মধ্যে ১০হাজারেরও বেশি টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকে নিরুপায় হয়ে বাড়িতে গভীর নলকূপ বা সাবমারসিবল বসিয়ে নিয়েছেন। তবে যাদের সাবমারসিবল বসানোর সামর্থ্য নেই তাদের দূর-দূরান্তের গভীর নলকূপ থেকে পানি টেনে এনে খেতে হচ্ছে। সুজানগর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুভাষ চন্দ্র কুন্ডু বলেন প্রায় দুই মাস আগে আমার টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র পানি সঙ্কটে ভোগার একপর্যায়ে গত সপ্তাহে সাবমারসিবল বসাতে বাধ্য হয়েছি। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের আবদুল খালেক বলেন আমার বাড়ির টিউবওয়েলে প্রায় দুই মাস হলো পানি উঠছেনা। পার্শ্ববর্তী বাড়ির একটি অগভীর তারা টিউবওয়েল থেকে অনেক কষ্ট করে পানি টেনে এনে রান্নাবারির কাজ চালাচ্ছি। তবে দূর-দূরান্তের অগভীর তারা টিউবওয়েল থেকে পানি টেনে এনে রান্না এবং খাওয়ার পানির চাহিদা মেটানো গেলেও গোসলসহ অন্যান্য কাজ-কর্ম সারতে সীমাহীন দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার গভীর নককূপেও পানি উঠছেনা। এতে ধানের সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেও উপজেলার জোনারামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক ভুক্তভোগী কৃষক আনছার আলী শেখ জানান। এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নীচে নেমে যায়। ফলে এ সময় গভীর এবং অগভীর তারা টিউবওয়েল ছাড়া হস্তচালিত সাধারণ টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ভারি বৃষ্টি হলে ওই সকল বন্ধ টিউবওয়েল আবার সচল হয়ে যাবে।