চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে চার কন্যা সন্তানের অসহায় জননী সেলিনার পরিবারকে মাথাগুজার ঠাঁই বসত ঘর প্রদান করা হয়েছে। ঘর পাওয়ার পর পুলিশ সেই সেলিনাকে প্রধান মন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলাপ করিয়ে দেন। অসহায় সেলিনা প্রধান মন্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় আবেগ তারিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আমি (সেলিনা) প্রধান মন্ত্রীর সাথে কথা বলার পর আমাদের হাটহাজারী থানা পুলিশের উপ- পরিদর্শক আকরাম স্যার চট্টগ্রামের এক বড় আওয়ামীগ নেতা আমার পরিবারের বিয়য় অবহিত হয়ে আমার পরিবারের দায়িত্ব গ্রহনে আগ্রহী বলে জানালেন। এই নেতা একসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন বলে ও তিনি উল্লেখ করেন। নাম আ জ ম নাসির উদ্দীন। পুলিশের কথা অনুসারে আমি আকরাম স্যারকে নিয়ে সেই নেতার বাসায় গেলাম।
কিন্তু তার ব্যবহারে আমি টেরই পেলাম নাহ এত বড় মানুষের বাসায় আসলাম আমি। গত ১২ বছর ধরে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা হিসেবে চার মেয়েকে নিয়ে যখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছিলাম। তখন পুলিশ এগিয়ে এসে একটা সেমি পাঁকা ঘর করে দিয়েছে।’
‘ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা শুনে মেয়র (আ জ ম নাছির উদ্দীন) স্যারও আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি কি খুশি তা মুখের ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমার মেয়েদের পড়ালেখা যখন বন্ধ হয়ে গেছে; সেখানে মেয়র (সাবেক মেয়র) বলেছেন, চার মেয়ের আজীবনের পড়ালেখার দায়িত্বের পাশাপাশি আমাদের ভরণ পোষণে যা লাগবে তা তিনি বহন করবেন। এমনকি দুটা রিকশা কিনে দিতে চান এবং আমাকে বুধবার ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন ঈদের খরচ ও মেয়ের ফরম পুরনের জন্য। আমি নাছির স্যারের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আল্লাহ উনাকে ভালো রাখুক। আমার মত অসহায়ের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।’ Ñ একনাগাড়ে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশব্যাপী প্রতি থানায় একজন গৃহহীন দুস্থ নারী হিসেবে হাটহাজারী পুলিশের উপহারের সেমি পাকা ঘর পাওয়া সেলিনা আক্তার।