টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন সাইনবোর্ডে ভুল বানানে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মামুদনগর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর থেকে প্রদত্ত এলাকা পরিচিতি সাইনবোর্ডে ভুল বানানে 'মামুদনগর' ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অসাবধানতার ফলে "মাহমুদনগর" বানান সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে যার শুদ্ধ বানান হচ্ছে 'মামুদনগর'। নাগরপুরের এই ঐতিহাসিক ইউনিয়নের নাম বানান ভুল বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শিক্ষার্থী' সহ সাধারণ জনগণ ভুল বানান দেখে ভুল শিখবে বলে শঙ্কা শিক্ষকদের। নামের ভুল বানানের প্রতিক্রিয়ায় মামুদনগর উচ্চবিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ শহিদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, একটি নাম বানান ভুল করলে এলাকার নাম বিকৃত হয়ে যায়। বাহির থেকে আগত জনসাধারণ এলাকার নাম ভুল জানবে। আমি টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেনো অতিদ্রুত ভুল বানান সংশোধন করা হয়। ইতঃপূর্বে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় একই ধরনের ভুল পরিলক্ষিত হয়।
মামুদনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ জজ কামাল জানায়, আমাদের ইউনিয়নের নামের ভুল বানান সংশোধন এর জন্য জোরদাবি জানাচ্ছি। এমন ভুল মোটেও কাম্য নয়। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমি মামুদনগর ইউনিয়নের নামের বানান ভুলের বিষয়টি জেনেছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে। টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অফিসের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে কথা বলতে কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য, নাগরপুর উপজেলার ইতিহাসে লোক-কাহিনী বা জনশ্রুতি প্রচলিত আছে যে, সুলতান মাহমুদশাহ'র শাসন আমলে নাগরপুরের রাজধানী ছিলো মামুদনগর এলাকা। এখানে তার বিশাল এক নৌ ঘাঁটি ছিল। মাহমুদ শাহ এই নৌ ঘাটি'টি নির্মাণ করেছিলেন বিদেশী শত্রুদের আক্রমণের হাত থেকে এই অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য। সুতরাং, নাগরপুর উপজেলার প্রেক্ষাপটে মামুদনগর ইউনিয়ন ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।