টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এক সক্রিয় কর্মীকে বিএনপির নেতা বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নিজ দলের কুচক্রী মহল। বেশ কয়েকদিন যাবত এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগীর নাম নুরুল ইসলাম। যিনি নুরুল ইসলাম মেম্বার হিসেবে পরিচিত। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আসন্ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সাধারণ সম্পাদকের পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মাঝে নুরুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নে দলের ভিত মজবুত করতে দীর্ঘদিন যাবত নেতাকর্মী ও মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে দ্বিতীয়বারের মতো বিপুল ভোটের মাধ্যমে ইউপি সদস্য (মেম্বার)নির্বাচিত হয়েছেন।বর্তমানে তিনি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দলের জন্য কাজ করে স্হানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর বিশ্বস্ততা অর্জন করেছেন। দলীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে নেতাকর্মীদের কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থাভাজন।
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সমর্থকরাও নুরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদকের পদে দেখতে চায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নুরুল ইসলামের জনপ্রিয়তা রয়েছে। যার কারণে তার মতো নিঃস্বার্থ আওয়ামীলীগকর্মীকে অন্য দলের তকমা লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে নিয়ে গুটিকয়েক হীন চরিত্রের মানুষ মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন পদ পাওয়ার আশায়।
গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাসুদ সরকার জানান, ছাত্রজীবনে নুরুল ইসলাম বিদেশ চলে যান। প্রবাসের জীবন শেষ করে এলাকায় এসে তার বড় ভাই গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল বাছেদের হাত ধরে আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। তাহলে কীভাবে সে বিএনপির নেতা হলেন এটা আমার বোধগম্য নয়।
গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল আলম বলেন, নুরুল ইসলামের রাজনীতির শুরুটাই আওয়ামী লীগ দিয়ে।তার মতো কর্মীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করলে দলের জন্য উপকার হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোরশেদা খানম ডলি বলেন, কয়েক যুগ ধরে আওয়ামী লীগ করি।এই ইউনিয়নে কে কোন দল করে আমি খুব ভালো করেই জানি।নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। দলের মধ্যে এমন বিভেদ সৃষ্টি যারা করছে তারা কখনো দলের মঙ্গল চায় না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম ঠান্ডু বলেন,নুরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে সে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।