নিয়ামতপুরে সবুজ মন্ডল (৩০) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে তা মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত সবুজ উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের রুদ্রপুর শালকোনা গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব মন্ডলের দ্বিতীয় ছেলে। এ ঘটনায় মৃতের বাবা থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, সবুজ মন্ডল দীর্ঘদিন যাবত মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলো। গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় চায়ের স্টলে সবুজের সাথে বাবার শেষবারের মত দেখা হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার তার নিজ এলাকার এক পুকুরের পাশে তার মরদেহ দেখতে পেলে থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো ছিল বলে জানা যায়।
সবুজের বাবা সোহরাব মন্ডল বলেন, ১০-১৫ বছর থেকে ছেলের মাথায় সমস্যা ছিল। চিকিৎসা করেও কোন লাভ হয়নি। বাড়িতে থাকতো না সে, বাইরে বাইরে ঘুর বেড়াতো আর মানুষের কাছ থেকে ভাত চেয়ে খেত। রাত্রি যাপন করত জঙ্গল ও কবরের পাশে। মানষিক ভারসাম্যহীন হওয়ায বাড়ি থেকে তার চলাফিরায় খোঁজ খবর রাখা হতো। কিন্তু বুধবার থেকে তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিলনা। অবশেষে শুক্রবার এলাকার এক পুকুর পাড়ে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহটি নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।