নিজ নামের সম্পত্তি ও পৈতৃক প্রাপ্ত বসত বাড়ি থেকে উৎখাত করার অভিযোগ উঠেছে সৎ মা, ভাই ও বোনদের বিরুদ্ধে বরগুনার পাথরঘাটায়। এমনকি ওই বসত বাড়ি থেকে উৎখাত করতে ইতোপুর্বে ‘ছেলের বিরুদ্ধে মাকে হাতুড়ি পিটানোর’ মতো মিথ্যা অভিযোগও করেছে। আর এ অভিযোগ সৎ মা রহিমা বেগম, ভাই শফিকুল আলম, শাহ আলম, সেলিনা সুলতানা ফেরদৌসী ও মুনিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে।
রুহুল আমিন পাথরঘাটা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডে পৈতৃক সুত্রে প্রাপ্ত এবং সৎ মা, ভাই ও বোনদের কাছ থেকে আড়াই শতাংশ জমি ৯০৯নম্বর দলিল মূলে মালিক হয়ে পাথরঘাটা পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিয়ে ৪ তলা ফাউন্ডেশন করে একতলা একখানা বিল্ডিং করি। ওই জমি থেকে আমাকে উৎখাত করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন তারা। আমার বাড়ি তাদের নামে কম মুল্যে বিক্রি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এর আগে সৎ মা রহিমা বেগম, বোন সেলিনা সুলতানা ফোরদৌসী ও শফিকুল আলমের দেয়া আমার নামে দলিল বাতিল করতে আদালতে মামলা করলে ওই মামলার হাজিরা দিতে বাড়িতে এসেই আমার বসতবাড়ী তালাবদ্ধ দেখতে পায়। ওই সময় সৎ মা রহিমা বেগম ও ভাই ও বোনরা বসত বাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে উল্টো রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে মাকে হাতুড়ি পেটার মতো মিথ্যা অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, সৎ মা রাহিমা বেগম আমাকে ছোট বেলা থেকেই লালন পালন করেছেন। তাকে আমি মায়ের মতোই সেবাযতœ করেছি এবং আমার বসত বাড়িতেই তাকে রেখেছি। আমার সৎ ভাই নুরুল আলম জাল সনদের কারণে পাথরঘাটা কে.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিকের বেতন বন্ধ এবং সৎ বোন মুনিরা সুদের ব্যবসাসহ নানা অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিকের পদ থেকে চাকুরিচ্যূত হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. নুরুল আলম সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।