বগুড়ার শেরপুরের ভীমজানি উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তি নাম, শিক্ষার্থী নেই তবুও অভিবাবক সদস্য, মনোনয়নপত্রের ফি ৬ হাজার টাকা নির্ধারণ সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভীমজানি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা গত ২৪ মার্চ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জিহাদের পিতা কুরবান আলী ১২৬ নং ভোটার তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন তারপরও ভোটার আছেন। ৮ম শ্রেনীর আরেক শিক্ষার্থী শাওরীন আক্তার শানুকে ভুয়া ভর্তি দেখানো হয়েছে। হাজিরা খাতায় তার রোল ৩০ এবং ভোটার তালিকায় রোল ৩১। ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোট ৩১জন, চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ৩২জন পর্যন্ত দেওয়া আছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শাওরীন আক্তার শানু হলি চাউল্ড স্কুল (মির্জাপুর) ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী, রোল নম্বর ৩ (তিন) সেখানে সে নিয়মিত ক্লাস করেন। এবং হলি চাইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইলাম তাদের শিক্ষার্থী দাবি করেন এবং ১৩ এপ্রিল ২২ তারিখে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন। সেই শানু (শিক্ষার্থী) ভীনজানি উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে ভূয়া ভর্তি দেখানো হয়েছে। এবং ৩১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে যার রোল নম্বর দেওয়া হয়েছে ৩০ (ত্রিশ)। কিন্তু সে কোনদিন স্কুলে উপস্থিত হয়নি। শানুর পিতা শাহীন আলমকে ভোটার তালিকায় ১৬২ নম্বরে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এবং তিনি অভিভাবক সদস্য ফরমও সংগ্রহ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, শাওরীন আক্তার শানু আমাদের ছাত্রী আমি জানিনা বা চিনিনা। সে কোনদিন স্কুলে আসেনি। তারপরও যেখানে ২৪ মার্চ ২২ চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে শানুর (শিক্ষার্থী) নাম ও অভিভাবক সদস্যে তার বাবার নাম শাহীন আলম দেখলাম।
এলাবাসী জানান, মৃত ব্যাক্তির নাম চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় এবং গত ২৪ মার্চ ২২ চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেখানে শানুর প্রত্যয়ন পত্র হলি চাউল্ড স্কুল থেকে ১৩ এপ্রিল ২২ তারিখে নেওয়া তাহলে ভোটার তালিকায় তার বাবার নাম আগেই কিভাবে আসলো। হাজিরা খাতায় তার রোল ৩০ এবং ভোটার তালিকায় রোল ৩১। ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোট ৩১জন, চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ৩২জন পর্যন্ত দেওয়া আছে। এটা ভুয়া ভোটার। তার মেয়ে কোন দিন স্কুলে আসেনা। সে অন্য স্কুলে এখনও পড়ে। এমন অনিয়ম দুর্নীতির কারণে এলাকাবসীর মাঝে স্কুলের নির্বাচন নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাকে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা।
নির্বাচন কমিশনার ও শিক্ষা অফিসার নজমুল হক জানান, চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় থেকে কারো নাম বাদ দেওয়া এখতিয়ার আমার নেই। যদি এমনটা হয় তাহলে তারা কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারেন। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।