ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জমে উঠেছে ঈদেরবাজার। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শপিংমলসহ তৈরি পোষাকের দোকনগুলোর প্রবেশ মুখে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নজরকাড়া নকশার সব পোষাক। ভিতরে শোভা পাচ্ছে হাল ফ্যাশানের ক্রেজ সারারা, গারারা, লেহেঙ্গা, কুর্তি, গাউন, গোলজামাসহ নামকরা সব পোষাক।
কাপড় ব্যবসায়িরা জানালেন, দোকানে সব ধরনের পোষাক রাখলেও তরুনীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে গোলজামা। দোকানে আসা বেশির ভাগ কিশোরী ও তরুনীরা এই পোষাকই বেশি পছন্দ ও কিনছেন বলে তারা জানান।
পৌরশহরের সাত রং লেডিস ফ্যাশানের কাউছার আহামেদ জানান, আমাদের এখানে নারীদের সব ধরনের পোষাক থাকলেও গোলজামা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, চার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দরে এই পোষাক বিক্রি হচ্ছে।
শহরের মায়াবী কমপ্লেক্সের মরিয়ম লেডিস ফ্যাশানের কাউছার আহামেদ বলেন. বাজারে বাংলাদেশী, চায়না ও ভারতীয়সহ তিন ধরনের গোলাজামা থাকলেও ভারতীয় ও বাংলাদেশী গোলজামা বেশি বিক্রি হচ্ছে। ডিজাইনে নতুনত্ব,টেকসই, বাহারি ও কড়া রংয়ের কারণেই তরুনীরা এই জামার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে।
আফিয়া আক্তার নামে এক তরনী জানান, অনেক আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম এবার ঈদে একটি ইন্ডিয়ান গোলজামা কিনব। কারণ এই পোষাকে নতুনত্ব আছে তাই সবাই কিনছেন।
নাজমা বেগম নামে এক নারী অভিভাবক বলেন, ভাই গোলজামা এখন তরুনীদের ক্রেজ। আমার মেয়ে রোজার আগেই বায়না ধরছে এই জামা কিনে দিতে হবে।
আবু সাঈদ নামে এক আরেক অভিভাবক জানালেন, আমার মেয়ের জন্য ঢাকা থেকেই একটি থ্রি পিস কিনে এনেছিলাম। তবে মেয়ের আবদার গোলজামা কিনে দিতে হবে। তাই বাজারে আসলাম গোলজামা কিনতে।
আখাউড়া আদর আলী কমপ্লেক্সের চায়না বাজার শপিং মলের মালিক ইকবাল হাসান জানান, আমার এখানে সবধরনের ভালো তৈরি পোষাক বিক্রি করা হয়। তবে তরুনীদের থ্রি পিসসহ গোলজামা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
পৌরশহরের আলী মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ি (রিফাত ক্লথ ষ্টোর) ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন আমরা মনে করেছিলাম রমজানের মাঝামাঝি সময়ে বেচাকেনা জমে উঠবে। কিন্তু বাস্তবে সেটি দেখা যাচ্ছে না। আগে রমজানের এই সময়ে যেখানে গড়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি হতো। এখন হাজার দশেক টাকা বিক্রি করতে পারছি না। করেনা চলাকালীন সময়েও ব্যবসা এত খারাপ ছিল না।তবে আমি আশাবাদী বেচাকেনা বাড়বে।
এদিকে ঈদের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে নারী ও শিশুদেও উপচে পড়া ভিড়।কাপড়, জুতা ও কসমেটিকসের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও তৈরি পোষাকের দোকানগুলোতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।