জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শেষ দুই মাস আগে। এখন পর্যন্ত মজুরি না পেয়ে ক্ষোভ ও হাতাশ হয়ে পড়েছে প্রকল্পের শ্রমিকরা। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই সমুদয় বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১০ ফেব্রুয়ারী হতে ৪০ দিন মেয়াদি কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় শেষ হয় গত ৩১ মার্চে। প্রতিটি ইউনিয়নে ৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৩২ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের জনপ্রতি দৈনিক মজুরি নির্ধারিত ছিল ৪শ টাকা। এ হিসেবে প্রত্যেক শ্রমিক ৪০ কর্মদিবসের সব দিন উপস্থিত থাকলে ১৬ হাজার টাকা মজুরি পাবে। তবে কোন শ্রমিক অনুপস্থিতি থাকলে ওই দিন তার মজুরি বাদ দেওয়া হবে। এদিকে ওই কর্মসুচীর কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দুই মাস আগে এখন পর্যন্ত হতদরিদ্র শ্রমিকরা মজুরি না পেয়ে হতাশ হয়েছে পরেছে তারা।
প্রকল্পের শ্রমিক আব্দুস সালাম, মুনছুর রহমান, সোহাগসহ আরো অনেকেই যুগান্তরকে জানান, আমরা খেয়ে না খেয়ে দুই মাস আগে অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা ভরাট, ড্রেন সংস্কারসহ নানা কাজ করেছি। মজুরির জন্য অনেক ধর্য্য ধরেছি কিন্তু এখন রোজার মাসে টাকার অভাবে পরিবারের খরচ যোগাতে পারছিনা। সময় মতো টাকা না পেলে ঈদে ছেলেমেয়ে কিছু নতুন জামা-কাপড় কেনা হবে না।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন পাপন যুগান্তরকে জানান, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের গত ৩০ দিনের মজুরি বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকে ঘরে বসেই তাদের নিজ নিজ মোবাইলের মাধ্যমে সে মজুরি পেয়েছে। বাঁকী ১০ দিনের মজুরি আমরা অনেক আগেই যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে ৪৩২ জন শ্রমিকের জন্য ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৫শত টাকার একটি বিলও প্রস্তুত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছি। আশা করি ঈদের আগেই তারা সমুদয় বকেয়া মজুরি পেয়ে যাবেন।