পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃষকেরা ধান খেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে গাছের ডালপালা পুঁতে বোরো আবাদ করেছেন। ধান খেতের ক্ষতিকারক পোকা দমনে খেতে বাঁশের কঞ্চি বা গাছের ডাল পুঁতে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করার এ পদ্ধতিকে বলা হয় ‘পারচিং’। দিন দিন এ উপজেলায় পারচিং পদ্ধতিতে ধান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে করে কমে আসছে ধান খেতে কীটনাশকের ব্যবহার। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক থাকার পাশাপাশি ধানের উৎপাদন ব্যয়ও কমে আসছে।
জানা যায়, ধান খেতে কীটনাশক প্রয়োগ না করে ক্ষতিকর পোকা দমনের প্রাকৃতিক পদ্ধতিকে পারচিং বলা হয়। এই পদ্ধতিতে ধান খেতে বাঁশের কঞ্চি বা গাছের ডালপালা পুঁতে দিয়ে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করা। এসব ডালে পাখি বসে খেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় ধরে খায়। জমিতে ধানের চারা রোপণের কিছু দিনের মধ্যে খেতে বাঁশের কঞ্চি বা ডাল পুতে দিয়ে হয়। এক বিঘা জমিতে ৫/৭ টি বাঁশের কঞ্চি বা ডাল পুঁতে দিতে হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, বিগত বছরগুলোতে পারচিং পদ্ধতিতে বোরো আবাদে সফলতা পাওয়ায় এলাকার কৃষকেরা এ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকেছেন। চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে বোররো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদকৃত জমির পরিমান হলো ৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর। এর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ জমি পারচিং পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক হযরত আলী সরদার জানান, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে গত ৮/৯ বছর ধরে তিনি কীটনাশক ব্যবহার না করে পারচিং পদ্ধতিতে ফসল ফলান।এবছরও তিনি ছয় বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তিনি ধান খেতে কীটনাশক না ছিটিয়ে বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে দিয়ে পোকা দমন করছেন।