নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের দুধারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ। ২০ এপ্রিল দুপুরে ওই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী সুলতান মৃধা। সম্প্রতি রেল লাইনের দুধার রাতের অন্ধকারে কতিপয় ভুমিদস্যু ব্যবসায়ি দখল করে তাদের দোকানঘর নির্মাণ করেন। এভাবে প্রায় ৫ শতাধিক দোকান অবৈধভাবে রেললাইন দুধারে গড়ে তোলা হয়। কোন কোন ব্যবসায়ি রেললাইন ঘেষে পাকা স্থাপনাও নির্মাণ করেন। এ সকল অবৈধ দোকানের কারণে সর্বক্ষণ লাইন ধারে লোকজনের ভীর লক্ষ্য করা যায়। ফলে ট্রেন চলাচলে বিঘœ ঘটে। ইতঃপূর্বে ট্রেনে কাটা পড়ে বেশ কয়েকজন লোক মারা গেছে। তারপরও অবৈধ দখলদাররা সর্তক হয় না।
তাই ট্রেন চলাচলে দুর্ঘটনা এড়াতে ওই সকল অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে কতৃপক্ষ। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী রেলওয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী সুলতান মৃধা জানান, রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে শহরের ফল মার্কেট পর্যন্ত রেল লাইনের দুধারে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধভাবে গঠে ওঠা দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় পুলিশের সাথে খারাপ আচরণ এবং সরকারী কাজে ব্যঘাত সৃষ্ঠি করার অপরাধে জামিল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মজার ব্যাপার হলো একদিকে উচ্ছেদ অভিযান অন্যদিকে ভেঙ্গে ফেলা স্থাপনার দখল নিয়ে মারামারি। সাথে উচ্ছেদ অভিযান চলে গেলে আবার সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক দোকানদার জানান, আমরা সরকারী জায়গায় দোকান করলেও কতৃপক্ষ মাসিক টাকা নিয়ে থাকে। তাদের কারণেই রেললাইন দুধার আজ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানে ভরে গেছে।
সচেতন মহল মনে করেন এর জন্য দায়ি স্টেশন মাস্টার,রেলওয়ে ওসি এবং ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। তবে দুই ঘুমটির গেটম্যানরাও দায়ি। গেটম্যানের অফিস ঘরটিও যেন গোডাউন ঘরে পরিনত।