ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে ধানি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গত চারদিনে ক্রমাগত উজানের পাহাড়ী ঢণের পানি নেমে আসার কজারণে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এই পানি বেড়ে যাওয়ায় আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিপুল পরিমান ধানী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ধান তলিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষক আধাপাকা ধান কেটে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পানি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় জমি থেকে ধান কেটে নিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছে।উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নেসর বাজার চারতলা গ্রামের কৃষক আবুল হাসম বলেন,জোয়রের পানি বাড়ার কারণে আমার তিনবিঘার জমির ধান সম্পুর্ন পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার সারা বছর চলার একমাত্র উৎস ছিল এই তিনবিঘা জমির ধান। এই তিনবিঘা জমি ১৬হাজার টাকা ধারদেনা করে চাষ করেছিলাম।আমার ধারদেনা কিভাবে পরিশোধ করব এই অবস্থায় আমি এখন কি করব তা বুঝে উঠতে পারছিনা না।সরকারের কাছে আমি আবেদন জানায় সরকার যেন আমার কিছু করে।একই অবস্থা উপজেলার লালফুর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের কৃষক কালু মিয়ার।তিনি বলেন,আমার সর্বসাকুল্যে পাচ বিঘা জমি ২৬ হাজার টাকা খরচ করে চাষ করেছিলাম সুদিনের আশায়।ধান ভাল হয়েছিল।কিন্তু।জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ধান ঘরে তুলতে পারলাম না।আমি এখন চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি।
আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা জানান, উজানের পানি এবং বৃষ্টিতে নদীগুলোর পানি হঠাৎ বেড়েছে। আগাম পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে চর চারতলার, আড়াইসিধা, এবং লালপুর।
তিনি আরও বলেন,পানি আরো বাড়তে পারে এই আশংকায় কৃষকদের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা জেলা অফিসের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকার থেকে যদি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য কোন আর্থিক সহায়তা আসে তাহলে আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পৌঁছে দেবে।