সেনবাগ পৌরসভার অনুমতি ছাড়া জনচলাচলে বিঘœ সৃষ্টি ও অবৈধ একটি দেয়াল অপসারণকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধর অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নোয়াখালীর সেনবাগ পৌর সভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল।
বুধবার বিকেলে পৌরসভা কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্যে মেয়র বলেন, সেনবাগ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড উত্তর শাহাপুর মিয়া বাড়ির ফিরোজ আলম ও ফখরুল ইসলামের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধের চলে আসছিল। ওই বিরোধ মিমাংসায় ফিরোজ আলম পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিবাদীকে নোটিশ করা হয়। এবং আপস মিমাংসার লক্ষ্যে পৌরসভার মেয়র নিজে দুই বার ওই বাড়িতে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় কাউন্সিলর সহ একাধিক কাউন্সিলরকে বিষয়টি সমাধানের দ্বায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু তারাও একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রতীয়মান হয় যে ফখরুল ইসলাম পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই বাড়ির অপারঅপর বাসিন্দাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে ওই জায়গায় দেওয়ালটি নির্মান করে সেটি ফখরুল সাহেবের জয়গায় নয়। এমত অবস্থায় দেয়ালটি অপসারণ করার জন্য ফখরুল ইসলামকে বারবার তাগাদা দেয়া স্বত্ত্বেও সেটি অপসারণ না করায় বিধি মোতাবেক গত ১৭ এপ্রিল পৌরসভার পক্ষ থেকে দেয়ালটি অপসারণ করা হয়। দেয়ালটি অপসারণ করতে গেলে ফখরুল ইসলাম ও তার লোকজন পৌরসভার লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং কর্তব্য কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। তারপরও পৌরসভার লোকজন অবৈধভাবে নির্মান করা দেওয়ালটি অপরসারণ করে। এরপর থেকেই ফখরুল সাহেব তার লোকজন ও কিছু ফেইসবুক সাংবাদিক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদরুল হোসেন, প্যানেল মেয়র-২ মহিন উদ্দিন, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন। তারাও তাদের বক্তব্যে মেয়রের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে তারাও বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলে মেয়র মহোদয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।