বেসরকারি খাতের (ডি ক্যাটাগরির বিনোদন, ট্যুরিজম এবং অন্য কোনও সমজাতীয় সেবা বাদে) শর্টকোডের কল খরচ (চার্জ) কমানো হয়েছে। ফলে সেবা গ্রহীতারা সেবা প্রাপ্তির আশায় শর্টকোডে কল করে আগের চেয়ে কম খরচে সেবা পাচ্ছেন। শর্টকোডের কল চার্জ (কল পার মিনিট) ২ টাকা থেকে কমে দেড় টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও কয়েক বছর আগে সরকারি শর্টকোডের চার্জ (৪৫ পয়সা) নির্ধারিত হয়েছে। বর্তমানে আগের চার্জই বহাল আছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ২৬০তম কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে তা কার্যকরও হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুরুর দিকে বিটিআরসি ৩ অঙ্কের, পরবর্তী সময়ে ৪ এবং বর্তমানে ৫ অঙ্কের শর্টকোড নম্বর বরাদ্দ দিয়ে থাকে। জানা যায়, শর্টকোডের মাধ্যমে কলসেন্টার সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ভয়েস কল বাবদ বিদ্যমান ট্যারিফ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মধ্যে ভাগাভাগির সময় মোবাইল ফোন অপারেটররা বেশির ভাগ অংশ পেয়ে থাকে। এর পুরো অর্থ সেবা গ্রহীতাকে বহন করতে হয়। এই খরচ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অন্তরায় বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে করে। এসব কারণে কমিশন আগেই সরকারি সংস্থার সেবা সহজলভ্য করতে কলসেন্টার সার্ভিসের ভয়েস ট্যারিফ (চার্জ) প্রতি মিনিট ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করে। অপরদিকে বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা প্রতি মিনিট ২ টাকা হওয়ায় তা প্রান্তিক সেবা প্রার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়াটা কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এসব কারণে বিটিআরসি দেশের সাধারণ জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক সচেতনতা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার সেবা নূন্যতম খরচে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শর্টকোড সার্ভিসের চার্জ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। জানা যায়, পরবর্তী সময়ে বিটিআরসি মোবাইল ফোন অপারেটরদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করে কলচার্জ কমানোর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। পরে কলচার্জ দেড় টাকা করে তা গত বছরের ১০ অক্টোবর কার্যকরের নির্দেশ দেয়। মোবাইল অপারেটররা ৪টি কারণ উল্লেখ করে তা গত ৩১ মার্চ কার্যকরের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় কমিশনে। কমিশন এই সময়কে দীর্ঘ সময় মনে করে গত মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৪ মার্চ সিস্টেম আপগ্রেড করে ১৫ মার্চ থেকে তা কার্যকরের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী গত মাসের মাঝামাঝি থেকে নির্দেশনাটি কার্যকর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.) বলেন, ‘বিটিআরসির নির্দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত শর্টকোডের সর্বোচ্চ চার্জ ১ টাকা ৫০ পয়সা মার্চের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতা উভয়েই উপকৃত হবেন। তবে সরকারি সংস্থার শর্টকোডের চার্জ কয়েক বছর আগেই নির্ধারিত হয়েছে।’