বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে গণহত্যা ও কালো দিবস পালন করা হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় পৌর শহরের রেলগেটের স্বাধীনতা মঞ্চ চত্বরে মোমবাতি প্রজ¦লনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে সান্তাহারে নিহত সকল শহীদের স্বরণে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পুরো শহরে ১মিনিট বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত ওই সকল শহীদদের স্বরণে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক আরিফুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন চন্দন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মুন্না, সান্তাহার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাংবাদিক নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান সোহাগ, ছাত্রলীগ নেতা তানভী রহমান তনু প্রমুখ। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা বলেন, ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত ওই সকল শহীদদের স্বরণে সান্তাহার গণহত্যা ও কালো দিবস পালনের সরকারী ভাবে স্বীকৃতি দিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী ট্রেন যোগে সান্তাহার শহরে প্রথম প্রবেশ করে। সে দিনই তারা নির্মম ভাবে গণ হত্যায় মেতে উঠে। তাদের বুলেটের আঘাতে সান্তাহারের জমিদার সুরেন্দ্রনাথ তার স্ত্রী হড়িভবানী দাসী, ব্যবসায়ী নূর চৌধুরীসহ প্রায় আড়াই হাজার বাঙ্গালী নর-নারী সে দিন শহীদ হন