ছওয়ান গুলো কয় হামার জামা কুনদিন আনিবু অবাহ হওয়া থাকা লাগে।অন্যর জমি বর্গা নিয়ে ধার দেনা করে১ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি আজ ধান মারাইয়ের কাজ করছি কিন্তু একটাও ধান পাইনাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে এ ব্যাপারে ঈদ হামার হবার নয়।ধার দেনা করে জমিতে ধান ফলিয়েছি সেই টাকা কি ভাবে শোধ করবো চিন্তায় আছি।কান্ন জনিত কন্ঠ এ কথা গুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের শরিফের হাট এলাকার ছকির উদ্দিনের ছেলে মোঃশফিকুল ইসলাম (৪০)।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শরিফের হাট মোড় এলাকার জমিতে ধান মারাইয়ের কাজ করছেন শফিকুল ও তার স্ত্রী সহ ধান মারাইয়ের কাজ করছে। এ সময় শফিকুলের স্ত্রী মোছাঃ ফরিদা বেগম(৩৫) বলেন,এবারে ধান ফলিয়েছি একটু ভালো হয়নি শুধু পাতান পাইলাম ছেলে মেয়ে নিয়ে কি ভাবে ঈদ করমো খুলবেই চিন্তায় পরেছি।এসময় কান্না জনিত কন্ঠে বলেন,ভাইরে আমার সবনাশ হয়া গেলো ভাবছিলাম এক বিঘা জমিতে ২৮ ব্রি ধান ফলিয়েছি এই ধান হলে আমার পরিবারের ৬ মাস চাউল কেনা লাগতো না। আর বউ ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভালো ভাবে ঈদ করতাল কিন্তু একটিও ধান হয় নাই ছেলে মেয়ের নতুন কাপড় ও সেমাই চিনি কিনতে পারবো না।প্রায় ১০ হাজার টাকা ধার দেনা করে ১ বিঘা জমিতে ধান রোপন করছিলাম। দেনা কি ভাবে শোধ করবো চিন্তায় আছি। অটো রাইস মেইলে যে কাজ করে প্রতিদিন দুই শত টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না।আমার ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খচর দিতে হিমসিম খেতে হয়।কি ভাবে যে কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন,ব্রিধান ২৮ এই জাতের ধানের গাছ গুলো ব্রাস্ট রোগে আক্তান্ত হয়েছে ঠিক মত ওষুধ না দেয়ার কারণে রোগটি নিমুলের জন্য আমরা উপজেলায় মাইকিং ও পরামশ করেছি তুবু কৃষকরা শোনেন না। ধান না হওয়ার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।