কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর হাওরে এবার আগাম নদীতে পানি আসার কারণে কৃষকদের বোরো ধানের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে নৌকা অথবা সাতার কেটে কাঁচা ও আধা পাকা বোরো ধান কাটতে গিয়ে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। জানা যায়, আসামে আগাম বন্যা হওয়ার কারণে সিলেটের পাহাড়ী ঢলে নদী তীরবর্তী এলাকার নিচু বোরো ধান গুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু হাওরে পানির নিচ থেকে কৃষকরা পূর্বের বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুন মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের নিয়ে আধা পাকা ধান কাটতে গিয়ে চরম লোকসানের সম্মুখিন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাজিতপুর উপজেলার ননির হাওর, হুমাইপুরের কিছু অংশ ও মাইজচরের এক তৃতীয়াংশ বোরো ধান ঘোড়াউত্রা ও ধলেশ্বরী নদীর নিচে পড়ে গেছে হাজার হাজার একর ইরি বোরো ধানের জমি। এখন কৃষকরা মহাজনদের সুদের টাকা দিতে হবে ঋণ করে। এদিকে নিকলী উপজেলার শিংপুর, কারপাশা, নিকলী সদর ও ছাতিরচর হাওরে নদী বেষ্টিত ধনু নদী ও মেঘনা নদীর একাংশ কয়েকশ একর জমি পানিতে তলিয়ে গেলেও কৃষকরা শ্রমিক নিয়ে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমি গুলো কাটছে। তাদের বছরে একটা ফসল। তাদের মাথায় এখন হাত পড়েছে। অন্যদিকে কুলিয়ারচরের একটি অংশ অনুরুপ কয়েকশ একর জমি তলিয়ে গেছে। কৃষকরা জানায়, বড় আশা ছিল ইরি বোরো ধানের জমি কেটে এবার হয়তো লোকসানের মুখ থেকে ফসল ঘরে তোলে লাভবান হবেন। কিন্তু ভারতে অকাল বন্যার কারণে তাদের আশা যেন নিরাশায় পরিণত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক শনিবার দুপুরে জানান, এবার তাদের ঘোলা বরা ধানতো দূরের কথা মহাজনের টাকা সুদ করতে পারবে না। পরিবার নিয়ে তারা কিভাবে চলবে এই নিয়ে চিন্তার কোন ইয়ত্তা নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওরের নদী বেষ্টিত ইরি বোরো ধানের জমি নষ্টের পথে চলেছে। তবে এরপরও ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা পুষণ করেন তারা। কৃষকদের দাবি এবছর ইরি বোরো ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা যেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন যেন তারা সহায়তা পান সে আশা পুষন করেন।