একদল উদ্যমী তরুণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা গরীব,অসহায়, পিছিয়ে পড়া মানুষদের নানাভাবে সহযোগীতা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। টাকার অভাবে গ্রামের কোন মানুষ চিকিৎসা করাতে পারছেনা এমন সংবাদ পেলেই ছুটে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। নিজেদের প্রদানকৃত চাঁদার টাকা এবং গ্রামের বিত্তশালীদের সহযোগীতা নিয়ে এসকল কাজ করছে দীপ্তিময় এ তরুণদল। এসবের পাশাপাশি প্রতি বছর রমজানে ধনী-গরীব সবার জন্য ভুর্তুকি দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি করছে। রমজান মাসের এলেই সয়াবিন তেল, ছোলা, মুড়ি, সেমাই, চিনি, খেজুরসহ ইফতারের জন্য অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বাজার দর থেকে কম মূল্যে বিক্রি করে থাকে। যা স্থানীয় গ্রামবাসিসহ আশে পাশের মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। সংগঠনটির নাম মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন। ২০১৭ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের পাতবিলা গ্রামের কয়েক তরুণের হাত ধরে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ, রক্তদান এবং শীতবস্ত্র বিতরণনসহ সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক নানা সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।
কিছুদিন যেতে না যেতেই তারা সমস্ত গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করে। বাড়তে থাকে তাদের কাজের পরিধি। এ পর্যন্ত সংগঠনের টাকায় বেশ কয়েকজন দরিদ্র মানুষের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি করোনাকালী ফ্রী ভ্যাক্সিন রেজিষ্ট্রেশন, স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় ফ্রী বক্স নম্বর বিতরণসহ সেবা মুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসির নজর কাড়ে। ভবিষ্যতে আধুনিক সুযোগ সুবিধার একটি হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠার করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সংগঠনের সদস্যরা।
“আপনার একটু সহযোগিতা পারে মজলুমের মুখে হাসি ফোটাতে” এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে তাদের পথচলা শুরু। দীর্ঘ পাঁচ বছরে তারা মানুষের মৌলিক প্রয়োজনের উপর গুরুত্ব দিয়ে গরীব অসহায় মানুষের সেবা, চিকিৎসা, খাবার, ঈদের বাজার এইসব দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।করোনাকালী সময়ে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দেওয়া এবং ঈদ এলেই অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি বাজার পৌছে দেওয়ার কাজ করছে সংগঠনটি। আসন্ন ঈদণ্ডউল-ফিতরের আগেও বৃহৎ পরিসরে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের আগেই শতাধিক মানুষের বাড়ি ঈদ উপহার পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সংগঠনটি।
কথা হয় সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা আল মুজাহিদ ও সাধারন সম্পদক রাজু আহমেদের সাথে। তারা দু’জনই শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত। তারা জানায়, আমরা তো ভালো আছি, যারা ভালো নেই তাদের সহযোগীতা করা আমাদের দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দরিদ্র অসহায় মানুষদের দেখলে কষ্ট হয়। তাই সামাজিক ও ধর্মীয় দ্বায়বদ্ধতা থেকে “আপনার একটু সহযোগিতা পারে মজলুমের মুখে হাসি ফোটাতে” শ্লোগান নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধ্যমত কাজ করছি। আগামীতে দরিদ্র মানুষের শিক্ষা ও চিকিৎসায় আধুনিক হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।