রংপুর নগরীতে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে জবাই করা গরুটি মরা ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সেনেটারি বিভাগ। পরে পুলিশ, ব্যবসায়ী সমিতি, মাংস বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টরা বসে বিষয়টি সমাধান করেছেন। শনিবার সকালে নগরীর লালবাগ হাটে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার বাজারে তৈয়বুর রহমান নামে এক মাংস বিক্রেতা ২ মণ ১০ কেজি ওজনের একটি গরু জবাই করেন। তৈয়বুর রহমানের কাছ থেকে সেই গরুর মাংস কিনে এনে লালবাগ হাটে বিক্রি শুরু করেন মো. সাগর নামের এক মাংস বিক্রেতা।
এর কিছুক্ষণ পরেই সাগরের চাচা মাংস বিক্রেতা আনিছুর রহমান ওই মাংস মরা গরুর বলে প্রচার চালান। তিনি বিষয়টি লালবাগ হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে জানান। এ খবর লালবাগ হাট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে আনিছুর তার ভাতিজা সাগরকে ব্যাপক মারধোর করেন।
পরে লালবাগ হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সাথে কথা বলে পুলিশকে খবর দেয়া হয় ও প্রাণিসম্পদ বিভাগকে জানানো হয়। তারা এসে মাংস মরা গরুর নয় বলে জানায়। লালবাগ হাটে গরু জবাই না হওয়াতে পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরির কারনে এমনটা ঘটেেছ বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে মাংস বিক্রেতা সাগর মাহিগঞ্জে মাংসগুলো ফেরত দিয়েছে।
তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার এসআই ওবায়দুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। পরে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক এসে পরীক্ষার পর জানান মাংসগুলো মরা গরুর নয়। তখন বিষয়টি সমাধান হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানির মোড়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক ইউনিট উওর ও দক্ষিণ ট্রাফিক পুলিশের সাথে রাস্তায় দাড়িয়ে ইফতার করলেন রংপুর মেট্রোপলিটন কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ বিপিএম।