যশোরের কেশবপুরের চিংড়া বাজারে সুদে কারবারী, মাদক ব্যবসাীদের সন্ত্রাসী কর্মকা- বন্ধের দাবিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার সকালে চিংড়া বাজার কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে শত শত ব্যবসায়ীরা অংশ নেয়। চিংড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিধান দে, সহ সম্পাদক আবদুল কাদের, ব্যবসায়ী দীনবন্ধু দত্ত পুতুল, শফিকুল ইসলাম, প্রদীপ দত্ত প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সদ্য বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বিজয়ী হওয়ার পর থেকে তিনি ষ্পষ্ট ঘোষনা দেন তার ইউনিয়নের চিংড়া বাজাওে কোন সুদে কারবাপর ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার হলে ব্যবসায়ীদেও সাথে ডিনয়ে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। এরপর থেকে তারা ক্ষমতাসীণদলের প্রভাব বিস্তার করে সুদখোর সিন্ডিকেট ও মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত ও তার পরিবারকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উস্কানিমূলক কথা বলে আসছে। এরই সূত্র ধরে গত ২১ এপ্রিল রাতে ছাত্রলীগের অফিসসহ ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের লোকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। মানববন্ধন থেকে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সুদে কারবারি ও মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবি জানানো হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম বলেন, চিংড়া বাজারে সুদে কারবারীদের ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে সুদের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় এলাছাড়া হয়েছে। আমি নির্বাচন কালীণ সময়ে ইস্তেহারে বলেছিলাম আমি পুণরায় নির্বাচিত হলে চিংড়া বাজারে কোন সুদে কারবার ও মাদক সেবনসহ ব্যবসা করতে দেয়া হবে না। সে থেকে তারা পায়ের উপর পা রেখে বিরোধ বাধাতে চেষ্টা করছে। এমনকি এই সিন্ডিকেট আমার ও আমার পরিবারের জানমালের ক্ষতি করার নীলনকশা চালিয়ে আসছে। এ বিষয়ে তিনি আইনি সহায়তা কামনা করেছেন।